২০২২ সালে শুরু হওয়া ‘এইম’ প্রোগ্রামটি ডিজিটাল ভবিষ্যতের জন্য দক্ষ জনশক্তি তৈরিতে সহায়তা করছে। এই প্রোগ্রামটি সমস্যার সমাধান চিন্তা করা, পরিকল্পনা তৈরি ও সফলভাবে বাস্তবায়নের মাধ্যমে তরুণদের ক্যারিয়ার গঠনে ভূমিকা রাখছে। এবার, বাংলাদেশের শীর্ষ ডিজিটাল প্ল্যাটফর্ম পাঠাও ঘোষণা করেছে ‘এইম’ ইন্টার্নশিপ প্রোগ্রাম।
এই ইন্টার্নশিপ প্রোগ্রামে সারাদেশ থেকে প্রায় পাঁচ হাজার আবেদন জমা পড়েছে, যা তরুণদের জন্য ক্যারিয়ার তৈরির একটি বিশাল সুযোগ হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে। দেশের সেরা বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর শিক্ষার্থীদের মধ্যে থেকে বাছাই প্রক্রিয়ার মাধ্যমে ২১ জন মেধাবী তরুণকে চূড়ান্ত প্রোগ্রামের জন্য নির্বাচিত করা হয়েছে।
পাঠাও ব্র্যান্ডের মানবসম্পদ বিভাগের প্রধান, এইচ এ সুইটি, এইম প্রোগ্রামের মেধাবীদের উদ্দেশে বলেন, “পাঠাও পরিবারের অংশ হয়ে, আপনারা যেভাবে উচ্ছ্বাস ও নতুন চিন্তাভাবনা নিয়ে কাজ করবেন, তাতে আমরা গর্বিত। বিশ্বাস করি, আপনারা এখানে আসা আপনার প্রতিভা ও উদ্যমের মাধ্যমে বড় পরিবর্তন আনবেন। পাঠাও পরিবারে আপনাদের যাত্রা হবে আনন্দদায়ক এবং সফল।”
এই প্রোগ্রামটি এমনভাবে ডিজাইন করা হয়েছে, যাতে ইন্টার্নরা হাতে-কলমে কাজ করতে পারে, বাস্তব সমস্যার সমাধান শিখতে পারে এবং বিশেষজ্ঞদের কাছ থেকে মূল্যবান পরামর্শ পেতে পারে। চলতি বছরের প্রোগ্রামে অংশগ্রহণ করেছেন দেশের শীর্ষ বিশ্ববিদ্যালয়ের মেধাবী শিক্ষার্থীরা, যেমন নর্থ সাউথ, ব্র্যাক, বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব প্রফেশনালস, ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজি, এবং খুলনা ইউনিভার্সিটি অব ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড টেকনোলজি।
এইম প্রোগ্রামটি বছরে একবার শুরু হয়ে এখন বাংলাদেশের করপোরেট ইন্টার্নশিপ উদ্যোগ হিসেবে বেশ আলোচিত। ২০২৫ সালের ইন্টার্নরা তাদের নতুন যাত্রা শুরু করতে যাচ্ছে, যেখানে তারা একে অপরের সঙ্গে নতুন ধারণা নিয়ে কাজ করবে, যা ইন্ডাস্ট্রি ও শিক্ষার্থীদের ওপর ইতিবাচক প্রভাব ফেলবে।
তরুণদের ক্ষমতায়ন এবং তাদের প্রতিভা বিকাশে এমন উদ্যোগগুলো গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে। চলমান প্রোগ্রামের মাধ্যমে তরুণরা নতুন কিছু শিখে তাদের দক্ষতা প্রদর্শনে আরও সুযোগ পাবেন, জানান উদ্যোক্তারা।