আটার রুটিকে আরও পুষ্টিকর করার কয়েকটি সহজ উপায়

চিকিৎসকরা ময়দার তুলনায় বেশি ফাইবার যুক্ত আটা খাওয়ার পরামর্শ দেন, কারণ ফাইবার পেটের স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী এবং ময়দার চেয়ে আটা অনেক বেশি স্বাস্থ্যকর। তবে, কয়েকটি সহজ উপায়ে আটার রুটিকে আরও স্বাস্থ্যকর করে তোলা সম্ভব। পুষ্টিবিদরা জানিয়েছেন, আটায় পাঁচ ধরনের স্বাস্থ্যকর উপাদান মিশিয়ে রুটির পুষ্টিগুণ আরও বাড়ানো যেতে পারে।

১. সজনে পাতা: সজনেপাতা ভিটামিন A ও আয়রনে সমৃদ্ধ এবং এটি ওজন কমাতে সাহায্য করে। এতে রয়েছে অ্যান্টি-অক্সিডেন্টস, যা রোগ প্রতিরোধে সহায়ক। ১ কাপ আটায় ১-২ টেবিল চামচ রোদের শুকানো সজনে পাতা গুঁড়ো মিশিয়ে আটা মেখে রুটি বানিয়ে নিন।

২. হলুদ: হলুদে রয়েছে অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট ও প্রদাহনাশক উপাদান। ১ কাপ আটায় ১ চা চামচ হলুদ গুঁড়ো মিশিয়ে আটা মাখুন।

৩. জোয়ান: জোয়ান হজমে সহায়ক এবং পেট ফাঁপার সমস্যা ও অস্থিসন্ধির ব্যথা কমাতে সাহায্য করে। ১ চা চামচ জোয়ান শুকনা কড়াইতে হালকা ভেজে ১ কাপ আটায় মিশিয়ে রুটি বানান। এর ফলে রুটির স্বাদও হবে সুস্বাদু।

৪. তিসি বীজ: তিসি বীজে রয়েছে ওমেগা থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিড, যা হার্টের স্বাস্থ্য ভালো রাখতে সহায়তা করে এবং কোলেস্টেরল কমাতে সাহায্য করে। ১ কাপ আটায় ১ টেবিল চামচ তিসি বীজ শুকনো কড়ায় ভেজে গুঁড়ো করে মিশিয়ে আটা মাখে রুটি বানিয়ে নিন।

৫. মেথি: মেথি রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে সহায়তা করে। ১ টেবিল চামচ মেথি গুঁড়ো করে ১ কাপ আটায় মিশিয়ে মাখুন। মেথির রুটির স্বাদ একটু তেঁতো হতে পারে, তবে এটি টক স্বাদের তরকারির সঙ্গে বেশ উপভোগ্য হবে।

এভাবে এই পাঁচটি উপাদান মিশিয়ে আটার রুটিকে আরও পুষ্টিকর এবং স্বাস্থ্যকর করে তোলা সম্ভব।

2 Replies to “আটার রুটিকে আরও পুষ্টিকর করার কয়েকটি সহজ উপায়”

  1. আটার রুটির থেকে কতগুলো উপকারিতা আছে। আমরা সকলে তেলের পরোটা না খেয়ে আটা রুটি পরোটা খেতে পারি। তাহলে স্বাস্থ্য এবং শরীর মনটা ভালো থাকবে ‌।

  2. ভাতের পাশাপাশি রুটি আমাদের অন্যতম প্রধান খাবার। অনেকেই অন্তত এক বেলা রুটি খেয়ে থাকেন। বিশেষ করে সকালের নাস্তায় আমাদের রুটি খাওয়ার প্রচলন বেশি। আবার অনেকে রাতের খাবারে ভাত না রেখে রুটি রাখেন।

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।