নতুন দলে গণ অধিকার পরিষদের ২০ নেতা, নুরুলের অর্থ ও পদ প্রলোভনের অভিযোগ
গণ অধিকার পরিষদের সভাপতি ও ডাকসুর সাবেক ভিপি নুরুল হকের দলের অন্তত ২০ জন নেতা-কর্মী নতুন রাজনৈতিক দল জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)-তে যোগ দিয়েছেন। নুরুল হক দাবি করেছেন, এসব নেতাদের কয়েকজনকে ‘১০ কোটি টাকা’ ও ‘এমপি’ করার প্রলোভন দেখিয়ে এনসিপিতে নেওয়া হয়েছে। তবে এনসিপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম আহ্বায়ক সামান্তা শারমিন এ অভিযোগকে ‘সর্বৈব মিথ্যা’ বলে উড়িয়ে দিয়েছেন।
গত ২৮ ফেব্রুয়ারি রাজধানীর মানিক মিয়া অ্যাভিনিউয়ে এনসিপির আনুষ্ঠানিক আত্মপ্রকাশ ঘটে। এরপর, ১ মার্চ গণ অধিকার পরিষদের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলন করেন নুরুল হক। তিনি অভিযোগ করেন, এনসিপির আত্মপ্রকাশে প্রশাসনের সহযোগিতা এবং রাজনৈতিক তদবিরের নানা অনৈতিক ঘটনা ঘটেছে।
এ বিষয়ে এনসিপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম সমন্বয়ক আবদুল হান্নান মাসউদ বলেন, নুরুল হক নিজেই গণ অধিকার পরিষদ বিলুপ্ত করে এনসিপিতে যুক্ত হওয়ার ইচ্ছা প্রকাশ করেছিলেন। তবে নুরুল হক এ দাবি নাকচ করে বলেন, বরং তিনি এনসিপির নেতাদের গণ অধিকার পরিষদে যোগ দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছিলেন।
গণ অধিকার পরিষদের অন্তত ২০ জন নেতা এনসিপিতে যোগ দিয়ে বিভিন্ন পদ পেয়েছেন। তাদের মধ্যে আছেন দলের উচ্চতর পরিষদের সদস্য, গণমাধ্যম সমন্বয়ক, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও ছাত্রসংগঠনের শীর্ষ নেতারা।
নুরুল হক দাবি করেন, তাঁর দলের কিছু নেতাকে প্রলোভন দেখিয়ে এনসিপিতে নেওয়া হয়েছে, তবে পরে তারা ভুল বুঝতে পেরে গণ অধিকার পরিষদে ফিরে এসেছেন। এনসিপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম আহ্বায়ক সামান্তা শারমিন এ অভিযোগ ভিত্তিহীন বলে মন্তব্য করেন এবং বলেন, “এ ধরনের মন্তব্য রাজনৈতিক ধোঁয়াশা তৈরি করার চেষ্টা মাত্র।”
রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, এনসিপির আত্মপ্রকাশের পর গণ অধিকার পরিষদে ভাঙনের সৃষ্টি হয়েছে, যা নুরুল হককে চাপে ফেলেছে। এরই মধ্যে তিনি নতুন দলের উদ্যোক্তাদের বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ তুলছেন, যা রাজনীতিতে নতুন আলোচনা সৃষ্টি করেছে।
মানুষ কতটা নিচে নামলে এমন করতে হয় সেটা তাকে দেখে বোঝা যায়।