“৭০ মাইল দূরে ৪০ বছর পর খুঁজে পাওয়া গেল হারানো আংটি”

মিজৌরি অঙ্গরাজ্যের রক পোর্ট এলাকায় বসবাসরত নিল ল্যান্সডাউন তাঁর বাগান পরিচর্যা করছিলেন। হঠাৎ তিনি লক্ষ্য করেন, বাগানের আবর্জনার মধ্যে কিছু একটা চকচক করছে। এগিয়ে গিয়ে তিনি জিনিসটি তুলে পরিষ্কার করেন এবং দেখতে পান এটি একটি আংটি, যার মধ্যে লেখা রয়েছে, ‘ওমাহা নর্থওয়েস্ট হাইস্কুল ক্লাস, ১৯৭৮’। আংটির ভেতরের অংশে নাম লেখা ছিল, ‘ক্যারি ক্রুকার’।

নিল জানান, আংটিটি পাওয়ার পর তিনি অবাক হয়েছিলেন, কারণ রক পোর্ট থেকে ৭০ মাইল দূরের ওমাহা শহর থেকে এই আংটি তাঁর বাগানে কীভাবে পৌঁছাল তা তিনি বুঝতে পারছিলেন না।

তিনি ডব্লিউওডব্লিউটি টিভিকে বলেন, ‘আমি কোনো পুরস্কার চাই না, তবে আংটির মালিককে খুঁজে বের করে এটি ফিরিয়ে দিতে আমি খুবই আগ্রহী।’ এর পর, নিল ওমাহা নর্থওয়েস্ট ফাউন্ডেশন নামের একটি সংস্থার সাহায্য নেন। সংস্থাটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বিষয়টি শেয়ার করে মালিকের খোঁজ নিতে শুরু করে, কিন্তু প্রথমদিকে কিছুই ফলপ্রসূ হয়নি। পরবর্তীতে টেলিভিশনে আংটি সম্পর্কিত একটি প্রতিবেদন সম্প্রচারিত হলে, মালিকের সন্ধান পাওয়া যায়।

আংটির মালিক, ক্যারি ক্রুকার বর্তমানে ফ্লোরিডায় বসবাস করছেন। তিনি মনে করেন, ১৯৮১ সালে আংটিটি হারিয়ে যায়। তিনি জানান, ‘আমি ঠিক জানি না আংটিটি কীভাবে হারালাম—সেটা আমি নিজেই হারিয়েছি, ভুলে কোথাও রেখেছি, না হয় কেউ এটি চুরি করে নিয়ে গেছে, কিছুই মনে করতে পারছি না।’

ক্রুকার আরও বলেন, তিনি জীবনে কখনো রক পোর্টে যাননি, তবে যখন আংটিটি হারিয়েছিল, তখন তাঁর পরিবারের সদস্যরা ওমাহায় একটি ফুলের দোকান চালাতেন। ফলে, সম্ভবত সেখানে থেকে আংটিটি দুর্ঘটনাক্রমে নিলের বাগানে চলে এসেছে। তিনি জানান, তাঁর পরিবার দীর্ঘদিন ধরে পাত্রে বসানো চারা গাছের ব্যবসা করত, তবে ঠিক কীভাবে আংটিটি সেখানে পৌঁছাল তা তিনি জানেন না।

One Reply to ““৭০ মাইল দূরে ৪০ বছর পর খুঁজে পাওয়া গেল হারানো আংটি””

  1. নীল ল্যান্সডাউন একটি সৎ কাজ করেছেন যেটির মাধ্যমে একজন মানুষের খুবই উপকার হলো। তার এসব কাজ থাকে আরও উঁচু জায়গায় নিয়ে যাবে। আমার পক্ষ থেকে তাকে কৃতজ্ঞতা জানালামᰔ

Tasmira Jannat শীর্ষক প্রকাশনায় মন্তব্য করুন জবাব বাতিল

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।