স্থানীয় বাজার, গলির মোড় বা আবাসিক এলাকায় ভ্যানগুলোর মধ্যে সহজেই পাওয়া যায় সজনে ডাঁটা। এর সুস্বাদু এবং ভেষজ গুণাগুণের জন্য এটি অনেকের কাছেই বিশেষভাবে পছন্দের।
এটি মূলত বসন্তের শুরুতে পাওয়া গেলেও, এখন বসন্ত শেষ হওয়ার পরেও বেশ কিছুদিন এটি পাওয়া যায়। সজনে সাধারণত ডালের সঙ্গে ব্যবহার করা হয়, তবে সরিষা, আলু, টমেটো বা অন্যান্য উপকরণ দিয়েও রান্না করা হয়, যা বাঙালির খাদ্য সংস্কৃতির অংশ। সজনে ডাঁটা ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য প্রতিষেধক হিসেবে কাজ করতে পারে।
সজনের মধ্যে উচ্চ মাত্রায় ভিটামিন A, C এবং E রয়েছে, যা শরীরের অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট ক্ষমতা বৃদ্ধি করে এবং এতে থাকা অত্যাবশ্যকীয় অ্যামিনো অ্যাসিড ও মিনারেলগুলো শরীরের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। সাম্প্রতিক গবেষণায় দেখা গেছে, এই সহজলভ্য সবজি আমাদের শরীরের অ্যান্টি-এজিং প্রক্রিয়া সমর্থন করে এবং এর অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি ও অ্যান্টি-কার্সিনোজেনিক (ক্যানসার প্রতিরোধী) বৈশিষ্ট্যও রয়েছে।
কাঁচা সজনে তিতা স্বাদের হওয়ায় এটি ইনসুলিনের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে সহায়তা করতে পারে, কিন্তু যখন রান্না করা হয়, তখন এটি আঁশ (ফাইবার) বা জটিল কার্বোহাইড্রেটে পরিণত হয়, যা মেনোপজ সম্পর্কিত এডেমা বা প্রদাহজনিত রোগ (যেমন গাউট) নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করতে পারে।
পুষ্টিগত দিক থেকে সজনে অত্যন্ত পুষ্টিকর এবং এটি প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ। সজনে গাছের প্রায় প্রতিটি অংশেরই রয়েছে বিভিন্ন পুষ্টিগুণ, তাই আমাদের উচিত এই মৌসুমি সবজিটি পুষ্টি ও স্বাদ উপভোগ করা।
লেখক: চিফ ক্লিনিক্যাল ডায়েটিশিয়ান, ইউনাইটেড হসপিটাল লিমিটেড, ঢাকা
আমরা এগুলো ডায়াবেটি রোগীদেরকে খাওয়াতে পারি
আমরা এগুলোকে সেজনা পাতা বলে চিনি। এগুলো আসলেই উপকারী।
Sojni pata upokari pata amdr Jonno khuboi
সেজনা পাতা হিসেবে ডাকা হয় গুলোকে আমাদের অঞ্চলে।এগুলো আসলেই শরীরের জন্য অত্যন্ত উপকারী।
চুলাকনি প্রকৃতিক ঔষুধ হিসেবে খাওয়া যায়।
ডায়াবেটিস রোগীর খাদ্য তালিকায় যা যা থাকতে হবে
ফলমূল ও শাকসবজি
শ্বেতসার সমৃদ্ধ খাবার। যেমন: লাল বা বাদামী চালের ভাত, লাল আটার রুটি বা পাউরুটি
প্রোটিন সমৃদ্ধ খাবার। যেমন: ডিম, মাছ, মাংস, শিম ও অন্যান্য বীন, ডাল, বিভিন্ন ধরনের বাদাম
দুধ ও দুগ্ধজাত খাবার। যেমন: দই, ছানা ও পনির
বিভিন্ন ধরনের তেল, মাখন, ঘি