সরকার নির্বাচনব্যবস্থা সংস্কারের প্রস্তাব তৈরি করতে একটি কমিশন গঠন করেছে। কমিশনটি নতুন নির্বাচন কমিশন (ইসি) গঠনের লক্ষ্যে অনুসন্ধান কমিটি প্রতিষ্ঠা করেছে, যার ফলে নির্বাচনী সংস্কার কতটুকু কার্যকর হবে, তা নিয়ে উদ্বেগ তৈরি হয়েছে।
রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, নির্বাচনী সংস্কারের প্রথম পদক্ষেপ হচ্ছে ইসি গঠনের পদ্ধতি নির্ধারণ। যদি পুরোনো বিতর্কিত আইন অনুসারে নতুন ইসি গঠিত হয়, তবে নতুন বিতর্কের সৃষ্টি হতে পারে। সংস্কার কমিশনের প্রস্তাবের জন্য সরকারের অপেক্ষা করা উচিত ছিল।
এম এ মতিন, আপিল বিভাগের অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি, বলেছেন যে সংস্কার কমিশন প্রস্তাব তৈরির কাজে নিয়োজিত, তাই অনুসন্ধান কমিটি গঠন করা উচিত হয়নি।
ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে অন্তর্বর্তী সরকারের ১০টি কমিশনের মধ্যে একটি নির্বাচনব্যবস্থা সংস্কার কমিশনও রয়েছে, যা ইতিমধ্যে ১২টি বৈঠক করেছে এবং ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে সরকারের কাছে তাদের প্রস্তাব জমা দেওয়ার কথা।
নতুন ইসি গঠনে সরকারের গঠিত অনুসন্ধান কমিটি ‘প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও অন্যান্য নির্বাচন কমিশনার নিয়োগ আইন’ অনুযায়ী কাজ করছে, যা ২০২২ সালে সংসদে পাস হয়েছিল। এ আইনে নিয়োগ পাওয়া কাজী হাবিবুল আউয়ালের নেতৃত্বাধীন কমিশন ৫ সেপ্টেম্বর পদত্যাগ করেছে।
নির্বাচন কমিশন গঠনে সবার কাছে গ্রহণযোগ্য ও যোগ্য ব্যক্তিদের নির্বাচন করা জরুরি, তবে ২০২২ সালের আইন এ ক্ষেত্রে দুর্বল প্রমাণিত হয়েছে। কমিশনটি ইতিমধ্যে আইন পরিবর্তনের একটি নতুন খসড়া তৈরি করেছে।
অনুসন্ধান কমিটির গঠন সম্পর্কে কমিশনের সঙ্গে সরকারের কোনো যোগাযোগ হয়নি, যা সংস্কার প্রক্রিয়ায় হোঁচট দিতে পারে। তবে কমিশনের প্রধান বদিউল আলম মজুমদার বলেছেন, নির্বাচন কমিশন গঠনে সরকার অনুসন্ধান কমিটি গঠন করতে পারে।
নতুন ইসি গঠনের জন্য সম্প্রতি ছয় সদস্যের অনুসন্ধান কমিটি গঠন করা হয়েছে, যার নেতৃত্বে আছেন আপিল বিভাগের বিচারপতি জুবায়ের রহমান চৌধুরী। এই কমিটি দুটি করে প্রার্থী রাষ্ট্রপতিকে সুপারিশ করবে।
এ বিষয়ে মতামত জানাতে গিয়ে এম এ মতিন বলেছেন, সংস্কার কমিশনের জন্য অপেক্ষা করা উচিত ছিল, তবে নির্বাচন আয়োজনের জন্য সরকারের চাপ থাকতে পারে, তাই দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে।
4o mini