“পদ্মার পাড়ে অস্থায়ী হাটে ইলিশ বেচাকেনা”


মা ইলিশ রক্ষায় সরকারের নিষেধাজ্ঞা সত্ত্বেও ইলিশ বিক্রি চলছে শিবচরে


যে কোন ধরণের ওয়েবসাইট তৈরি করতে আমাদের সাথে যোগাযোগ করুন।
৫০% পর্যন্ত ডিসকাউন্টে তৈরি করুন আপনার প্রতিষ্ঠানের জন্য
কর্পােরেট ওয়েবসাইট
ই-কমার্স ওয়েবসাইট অথবা নিউজপোর্টাল  ওয়েবসাইট।

মা ইলিশের প্রজনন রক্ষা করার উদ্দেশ্যে সরকার ১৩ অক্টোবর থেকে ৩ নভেম্বর পর্যন্ত ইলিশ মাছ ধরা, বিক্রি, পরিবহন ও সংরক্ষণ নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছে। তবে, মাদারীপুরের শিবচরে পদ্মা নদীসংলগ্ন বিভিন্ন এলাকায় অস্থায়ী বাজারে ইলিশ বিক্রি হচ্ছে। কম মূল্যের কারণে ক্রেতারা এসব স্থানে ভিড় করছেন।

স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, নদীর সংলগ্ন বাজারগুলোতে পুলিশ ও প্রশাসনের নজরদারি নেই। ফলে জেলেরা প্রকাশ্যে এসব বাজারে ইলিশ বিক্রি করছেন। নিষেধাজ্ঞা থাকা সত্ত্বেও প্রশাসনের অভিযান অব্যাহত থাকলেও কিছু অসাধু জেলে প্রশাসনের চোখ ফাঁকি দিয়ে মাছ শিকার করে বিক্রি করছেন।


শিবচর উপজেলার পদ্মা নদীর ১২ কিলোমিটারে অন্তত পাঁচটি স্থানে ইলিশ বিক্রি হচ্ছে। এই হাটগুলো হচ্ছে: চরচান্দ্রা, হিরাখারঘাট, পুরাতন কাওড়াকান্দি ফেরিঘাট, পুরানকান্দি এলাকা এবং কাজিরসুরা বাজারসংলগ্ন এলাকা।

গত মঙ্গলবার বিকেলে পুরানকান্দি এলাকায় গিয়ে দেখা যায়, নদীর পাড়ে জেলেরা ইলিশ বিক্রি করছেন। ক্রেতারা সাধারণত ৩০০ থেকে ৪০০ টাকা কেজি দরে মাছ কিনছেন, যেখানে বড় মাছগুলো, বিশেষ করে ডিমওয়ালা মা ইলিশ, এক হাজার টাকায় বিক্রি হচ্ছে।


স্থানীয় একটি বাজারে গিয়ে ইকবাল হোসেন বলেন, “অভিযানের সময় পদ্মার পাড়ে কম দামে ইলিশ পাওয়া যায়।” তিনি তিন হাজার টাকার মাছ কিনেছেন।

মাদবরেরচরের এক জেলে হারুন মাতুব্বর জানান, “সরকার আমাদের খাবার দিবে না, তাই জাল ফেলে মাছ শিকার করতে হচ্ছে।” স্থানীয় বাসিন্দা চন্দন রায় বলেন, রাতের ধরা মাছগুলো ভোরের দিকে বাজারে আসে এবং সকাল ৮টার মধ্যে বিক্রি হয়ে যায়।

এভাবে সরকারী নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে স্থানীয় বাজারে ইলিশ বিক্রি চলতে থাকলেও কর্তৃপক্ষের টনক নড়ার কোনো লক্ষণ দেখা যাচ্ছে না।

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।