কুমিল্লার নাঙ্গলকোট উপজেলার চাটিতলা গ্রামটি বর্তমানে লাল শাপলার বিলের জন্য পরিচিত। এই বিলটি গ্রামবাসীর আয়ের নতুন দিগন্ত খুলে দিয়েছে, attracting visitors from various districts to enjoy its beauty. এতে গ্রামের নৌকা চালকদেরও আয় বেড়েছে, এবং স্থানীয় বাজারে শাপলা সবজি হিসেবে বিক্রি হচ্ছে।
কুমিল্লা-নোয়াখালী আঞ্চলিক মহাসড়ক থেকে মাত্র সাড়ে চার কিলোমিটার পূর্বে অবস্থিত নাঙ্গলকোট উপজেলার চাটিতলা গ্রামে পৌঁছানো যায়। গ্রামে প্রবেশের পর দেখা যায়, দক্ষিণ পাশে খালি ফসলের জমিতে প্রায় ১২ একর জমিতে লাল শাপলা ফুটে রয়েছে। ভোর বেলা এই মাঠ রঙিন হয়ে উঠে, যা দেখতে দূর-দূরান্তের মানুষ ছুটে আসছেন।
স্থানীয় তরুণেরা, শাওন, নাইম ও মাইনুদ্দিন জানান, এবারের বৃষ্টিপাত বেশি হওয়ায় লাল শাপলার চাষ হয়েছে প্রচুর। প্রতিদিন এখানে শত শত মানুষ ভিড় করছেন। প্রথম দিকে ১০-১২টি নৌকা দর্শনার্থীদের নিয়ে চলাচল করলেও বর্তমানে এর সংখ্যা বেড়ে গেছে, ফলে নৌকা চালকদের আয়ও বৃদ্ধি পেয়েছে।
গ্রামের প্রবীণ বাসিন্দা ছায়েদুল হক বলেন, “লাল শাপলার চাহিদা বেশ ভালো। এই মৌসুমে আমি ১৪ হাজার টাকার শাপলা বিক্রি করেছি।”
স্থানীয় উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা সাইফুল ইসলাম বাবুল জানান, ভোরে চাটিতলার মাঠে একটি দৃষ্টিনন্দন দৃশ্য তৈরি হয়, যা বহু দূর থেকে দর্শকদের আকর্ষণ করে। শাপলা বিলের কারণে চাটিতলার পরিচিতি বেড়ে গেছে।
কুমিল্লা গার্ডেনার্স সোসাইটির পরিচালক ডা. আবু মোহাম্মদ নাঈম জানান, বাংলাদেশে সাত প্রকারের শাপলা দেখা যায়, যার মধ্যে কুমিল্লা অঞ্চলে সাদা, নীল এবং লাল শাপলা সাধারণ। বিশেষ করে লাল শাপলা অপেক্ষাকৃত বেশি পানিতে জন্মায় এবং ভোরে এই মাঠ মোহনীয় রূপ ধারণ করে।
4o mini