ফ্যাটি লিভারের ঝুঁকি বাড়াচ্ছেন না তো? জেনে নিন কীভাবে রক্ষা পাবেন

অস্বাস্থ্যকর জীবনযাপন এবং খারাপ খাদ্যাভ্যাস নানা ধরনের রোগের সৃষ্টি করতে পারে। আজকাল ব্যস্ত জীবনের কারণে অনেকেই ঘরে তৈরি খাবারের বদলে বাইরের ভাজাপোড়া কিংবা প্যাকেটজাত খাবার বেশি খেয়ে থাকেন। এর ফলে ফ্যাটি লিভারের সমস্যা দ্রুত বেড়ে যেতে পারে। বিশেষজ্ঞদের মতে, অস্বাস্থ্যকর জীবনযাপন, ভুল খাদ্যাভ্যাস এবং শারীরিক পরিশ্রমের অভাবে এই রোগ দ্রুত বৃদ্ধি পায়। যদি আপনি এই রোগ থেকে বাঁচতে চান বা এর শিকার হয়ে থাকেন, তবে কিছু অভ্যাস পরিবর্তন করে আপনি নিজেকে রক্ষা করতে পারবেন।

ফ্যাটি লিভার কী?

ফ্যাটি লিভার ডিজিজ, যা স্টেটোসিস নামেও পরিচিত, এমন একটি অবস্থা যেখানে লিভারে অতিরিক্ত চর্বি জমে যায়। অধিক ক্যালোরি গ্রহণের কারণে লিভারে চর্বি জমা হতে শুরু করে। যখন লিভার স্বাভাবিকভাবে চর্বি প্রক্রিয়া করতে অক্ষম হয়, তখন অতিরিক্ত চর্বি জমে যায়। স্থূলতা, ডায়াবেটিস, বা উচ্চ ট্রাইগ্লিসারাইডের মতো কিছু শারীরিক অবস্থার কারণে ফ্যাটি লিভারের ঝুঁকি বেড়ে যায়।

ফ্যাটি লিভারের প্রকারভেদ

ফ্যাটি লিভারের দুটি প্রধান ধরন রয়েছে:

১. অ্যালকোহলিক ফ্যাটি লিভার
অতিরিক্ত মদপানের ফলে অ্যালকোহলিক ফ্যাটি লিভার ডিজিজ হতে পারে। লিভার অ্যালকোহলকে ভেঙে দেয়, কিন্তু যখন আপনি বেশি অ্যালকোহল পান করেন, লিভারের উপর চাপ পড়তে থাকে এবং এটি ক্ষতিগ্রস্ত হয়। দীর্ঘদিন ধরে অ্যালকোহল পান করলে, এটি অ্যালকোহলিক হেপাটাইটিস বা লিভার সিরোসিসের মতো গুরুতর রোগে পরিণত হতে পারে।

২. নন-অ্যালকোহলিক ফ্যাটি লিভার
এটি অ্যালকোহলের সাথে সম্পর্কিত নয়। নন-অ্যালকোহলিক ফ্যাটি লিভার ডিজিজ ঘটে যখন লিভারের ৫ শতাংশ বা তার বেশি চর্বি জমে যায়। যদিও এর সঠিক কারণ এখনো স্পষ্ট নয়, তবে এটি সাধারণত স্থূলতা বা ডায়াবেটিস রোগীদের মধ্যে বেশি দেখা যায়।

ফ্যাটি লিভারের সমস্যা বাড়ানোর জন্য জীবনযাপনের পরিবর্তন অত্যন্ত জরুরি। নিয়মিত শরীরচর্চা এবং সঠিক খাদ্যাভ্যাস বজায় রেখে আপনি এই রোগ থেকে বাঁচতে পারেন।

2 Replies to “ফ্যাটি লিভারের ঝুঁকি বাড়াচ্ছেন না তো? জেনে নিন কীভাবে রক্ষা পাবেন”

  1. আমাদের খারাপ খাবার খাওয়ার অভ্যাস ভালো লাগতে হবে। আমার নিজেরই আমাকে শরীরের ক্ষতি করছি। খারাপ খাবার খেয়ে বিভিন্ন রকম। আমরা এখন থেকে স্বাস্থ্যকর ও পুষ্টিকর খাবার খাব। শরীরকে সুস্থ সবল রাখবো।

  2. লিভার একটি প্রধান অঙ্গ যা শরীরের বিস্তৃত কার্য সম্পাদন করে। লিভার শুধুমাত্র রক্তকে ডিটক্সিফাই করতেই সাহায্য করে না কিন্তু পুষ্টির সঠিক পরিপাকেও সাহায্য করে। লিভার একটি স্টোরেজ অঙ্গ হিসাবেও কাজ করে কারণ এটি গ্লাইকোজেন আকারে গ্লুকোজ সঞ্চয় করতে সাহায্য করে যা জরুরি সময়ে ব্যবহৃত হয়। সুতরাং, আপনাকে অবশ্যই স্বাস্থ্যকর খাবার খেতে হবে যা আপনার লিভারের জন্য ভাল এবং আপনার লিভারকে সুস্থ রাখতে সাহায্য করতে পারে। এই নিবন্ধে, আমরা 11টি খাবার নিয়ে আলোচনা করব যা সর্বোত্তম লিভারের স্বাস্থ্য বজায় রাখার জন্য গুরুত্বপূর্ণ।

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।