মানবাধিকার সংগঠন আইন ও সালিশ কেন্দ্র (আসক) দেশের বিভিন্ন স্থানে খাবারের দোকান খোলা রাখতে বাধা দেওয়ার ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। তারা বলছে, এই ধরনের কার্যকলাপ বেআইনি এবং এর ফলে অসুস্থ ব্যক্তি, শিশু, দিনমজুর ও ভিন্ন ধর্মাবলম্বীরা মারাত্মক দুর্ভোগের শিকার হচ্ছেন।
আসকের একটি বিবৃতিতে বলা হয়েছে, গণমাধ্যমের খবরে জানা গেছে যে, রমজানের পবিত্রতা রক্ষার জন্য দেশের বিভিন্ন স্থানে দিনের বেলায় খাবারের দোকান খোলা রাখার বিরুদ্ধে একটি গোষ্ঠী অযাচিত নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে। দোকান মালিকরা নিরাপত্তার কথা চিন্তা করে এসব এলাকায় দোকান বন্ধ রাখছেন, যার ফলে অসুস্থ ব্যক্তি, শিশু, দিনমজুর ও ভিন্ন ধর্মাবলম্বীরা সমস্যায় পড়ছেন।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, রমজান শুরুর আগে “সম্মিলিত মুসলিম জনতা” ব্যানারে বিভিন্ন স্থানে রমজানের দিনে খাবারের দোকান বন্ধ রাখার দাবিতে মিছিল ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছিল। সেই সাথে, ধর্মভিত্তিক এক রাজনৈতিক দলের শীর্ষ নেতা দিনের বেলায় হোটেল, রেস্তোরাঁ বন্ধ রাখার আহ্বান জানিয়েছিলেন। এ ধরনের আন্দোলনের ফলস্বরূপ ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন এলাকায় দোকান বন্ধ রাখতে বাধ্য হচ্ছেন দোকান মালিকরা।
আসক জানিয়েছে, রমজান হচ্ছে সহানুভূতি ও সহমর্মিতার মাস, এবং এ সময় খাবারের দোকান বন্ধ রাখার কিংবা খাবারের ওপর অযাচিত হস্তক্ষেপ করা উচিত নয়। দোকান বন্ধ রাখলে নারী, শিশু, বয়োবৃদ্ধ, অসুস্থ, দিনমজুর ও অন্য ধর্মাবলম্বীদের জন্য সমস্যার সৃষ্টি হতে পারে।
এছাড়া, বিবৃতিতে বলা হয়েছে যে, অবিবেচনাসুলভ ও বাস্তবতার বাইরে থাকা এ ধরনের আহ্বান সমাজে বিভেদ সৃষ্টি করছে এবং মানুষের মৌলিক অধিকার হরণের চেষ্টা করা হচ্ছে। আসক সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে, এসব বেআইনি আহ্বান এবং জোরপূর্বক দোকান বন্ধ রাখার বিষয়ে যারা অত্যধিক উৎসাহী, তাদের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হোক।
বিবৃতিটি স্বাক্ষর করেছেন আসকের চেয়ারপারসন ও জ্যেষ্ঠ আইনজীবী জেড আই খান পান্না।
রমজান মাসের রহমতের মাস। যদি এই মাসে একটা দোকানের সামনে আরেকটা দোকান বসে তাহলে দু দোকানের ক্ষতি হয়। তাহলে আমাদের এরকম কাজ করা যাবে না। অন্যের সাহায্য করতে হবে অন্যের পাশে দাঁড়িয়ে।