জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে ৭ বছরের দণ্ড থেকে খালাসের রায়ের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষ ও দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) লিভ টু আপিলের শুনানি আগামী ৩ মার্চ সোমবার অনুষ্ঠিত হবে।
রবিবার, বিচারপতি মো. আশফাকুল ইসলামের নেতৃত্বে তিন বিচারপতির আপিল বেঞ্চ দুদকের আইনজীবীর আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে এই আদেশ দেন।
আদালতে দুদকের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী আসিফ হোসাইন, আর খালেদা জিয়ার পক্ষে আইনজীবী ব্যারিস্টার রুহুল কুদ্দুস কাজল, অ্যাডভোকেট আমিনুল ইসলাম, অ্যাডভোকেট জাকির হোসেন, এবং অ্যাডভোকেট মাকসুদ উল্লাহ।
এর আগে, ২৩ ফেব্রুয়ারি, রাষ্ট্রপক্ষ ও দুদক খালেদা জিয়াকে ৭ বছরের দণ্ড থেকে খালাস দেওয়ার রায়ের বিরুদ্ধে আপিল বিভাগে আবেদন করেন।
গত ২৭ নভেম্বর, হাইকোর্ট জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় খালেদা জিয়াকে ৭ বছরের দণ্ড থেকে খালাস দেন। সাজার বিরুদ্ধে খালেদা জিয়ার আপিল মঞ্জুর করে বিচারপতি এ কে এম আসাদুজ্জামান এবং বিচারপতি সৈয়দ এনায়েত হোসেনের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রায় দেন।
এদিন, খালেদা জিয়ার পক্ষে ছিলেন – জ্যেষ্ঠ আইনজীবী জয়নুল আবেদীন, ব্যারিস্টার কায়সার কামাল, ব্যারিস্টার রুহুল কুদ্দুস কাজল, অ্যাডভোকেট গাজী কামরুল ইসলাম সজল, অ্যাডভোকেট আমিনুল ইসলাম, অ্যাডভোকেট জাকির হোসেন, অ্যাডভোকেট ছিদ্দিক উল্লাহ মিয়া, অ্যাডভোকেট মাকসুদ উল্লাহ, অ্যাডভোকেট আজমল হোসেন খোকন, এবং ব্যারিস্টার সানজিদ সিদ্দিকী। দুদকের পক্ষে ছিলেন অ্যাডভোকেট আসিফ হোসাইন।
২০১৮ সালের অক্টোবর মাসে, জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় খালেদা জিয়াকে ৭ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড এবং ১০ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়। একই রায়ে অন্য তিন আসামিকে সাড়ে ৭ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয় এবং ট্রাস্টের নামে কেনা কাকরাইলে ৪২ কাঠা জমি বাজেয়াপ্ত করে তা রাষ্ট্রের অনুকূলে নেওয়ার আদেশ দেওয়া হয়।
পরে এই রায়ের বিরুদ্ধে খালেদা জিয়া আপিল করেন।
বেগম খালেদা জিয়া তিনি থাকছে চাচ্ছে যে প্রধানমন্ত্রী হয়ে। কিন্তু নির্বাচন হওয়ার আগে প্রধানমন্ত্রী হওয়া যাবে না বিজয়ী হওয়া যাবে না। আশা করি তিনি বিজয়ী হয়ে আমাদের দেশের জন্য কিছু করবোন।
রোববার (২ মার্চ) সকালে আপিল বিভাগের জ্যেষ্ঠ বিচারপতি আশফাকুল ইসলামের নেতৃত্বাধীন তিনসদস্যের আপিল বেঞ্চে এটি শুনানির জন্য থাকলেও দুদক জানায় আরেক আসামি জিয়াউল ইসলামের বিরুদ্ধে তারা আপিল করেছেন তাই শুনানিতে তারা সময় চান। পরে আপিল বিভাগ শুনানির জন্য আগামীকাল দিন ধার্য করেন।