‘লিভারপুল কি প্রিমিয়ার লিগে চ্যাম্পিয়ন হতে পারবে?’—এই প্রশ্নটি এখন আর প্রাসঙ্গিক নয়। বরং, বর্তমানে সঠিক প্রশ্ন হবে, ‘লিভারপুল কবে চ্যাম্পিয়ন হবে?’ ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগের পয়েন্ট তালিকায় যে অবস্থা, তাতে নিশ্চিতভাবেই বলা যায়, লিভারপুল ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের রেকর্ড ছাড়িয়ে ইংলিশ লিগ শিরোপা জয় করতে চলেছে।
গতকাল রাতে, আরেকটি দুর্দান্ত ফুটবল প্রদর্শনীতে নিউক্যাসল ইউনাইটেডকে ২-০ গোলে পরাজিত করে ২০তম শিরোপা জয় আরো একধাপ এগিয়ে নিয়েছে লিভারপুল। দুই অর্ধে দুটি গোল করে দলটি ৩ পয়েন্ট পেয়েছে, যার মধ্যে দমিনিক সাবোস্লাই ও অ্যালেক্সিস ম্যাক অ্যালিস্টার ছিলেন গুরুত্বপূর্ণ। এই রাতে অল রেডদের প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী আর্সেনাল আবারও পয়েন্ট হারিয়েছে, ১৩ পয়েন্ট ব্যবধানে এগিয়ে গেছে লিভারপুল। আর্সেনাল নটিংহাম ফরেস্টের সঙ্গে গোলশূন্য ড্র করেছে।
নিউক্যাসল ম্যাচে লিভারপুল কোচ আর্নে স্লট ডাগআউটে ছিলেন না। দুই ম্যাচের নিষেধাজ্ঞার কারণে তিনি গ্যালারিতে বসে খেলা দেখেছিলেন। তবে, কোচের অনুপস্থিতি লিভারপুলের খেলায় কোনো প্রভাব ফেলেনি। স্লট ম্যাচ শেষে খেলোয়াড়দের প্রশংসা করেছেন, বলেছিলেন, ‘খেলোয়াড়রা ঠান্ডা মাথায় তাদের কাজ করেছে। আমরা প্রতিপক্ষকে বুঝিয়ে দিয়েছি যে আমাদের বিপক্ষে খেলা কতটা কঠিন।’
পেপ গার্দিওলার ম্যানচেস্টার সিটিকেও লিভারপুল ২-০ গোলে পরাজিত করেছিল আগের ম্যাচে। স্লট মনে করেন, সিটির বিপক্ষে সেই জয় মানসিকভাবে দলের আত্মবিশ্বাস অনেক বাড়িয়ে দিয়েছে। ‘ম্যান সিটিকে হারানোর পর সবাই খুব ইতিবাচক ছিল। আত্মবিশ্বাস বেড়েছে এবং পরের ম্যাচ জয়ের সম্ভাবনা বেড়েছে,’ বলেন স্লট।
নিউক্যাসলের বিপক্ষে লিভারপুলের একমাত্র অদ্ভুত বিষয় ছিল সালাহর গোল মিস। টানা আট ম্যাচে গোল করার পর, কাল তিনি গোল করতে পারেননি। তবে, তিনি ম্যাক অ্যালিস্টারকে গোল করার সুযোগ করে দিয়েছিলেন, যার ফলে মৌসুমে তার ২২তম ‘অ্যাসিস্ট’ পূর্ণ হয়।
এখন লিভারপুলের পয়েন্ট ২৮ ম্যাচে ৬৭, আর এক ম্যাচ কম খেলা আর্সেনালের পয়েন্ট ৫৪।
নটিংহাম ফরেস্টের বিপক্ষে ম্যাচের আগে, আর্সেনাল কোচ মিকেল আরতেতা বলেছিলেন, তিনি শিরোপা লড়াইয়ে থাকতে জান দিয়ে দেবেন। কিন্তু তার অনুপ্রেরণার অভাবই ফলাফলেই স্পষ্ট হয়ে ওঠে। ড্র করার পর, আরতেতা বলেন, ‘আজ আমরা ২ পয়েন্ট হারিয়েছি। এটা খুব যন্ত্রণাদায়ক। তবে আমাদের আবার ঘুরে দাঁড়াতে হবে।’
চোট থেকে ফিরে এসে, ম্যানচেস্টার সিটির আক্রমণাত্মক তারকা আর্লিং হলান্ড টটেনহামের বিপক্ষে ১২তম মিনিটে গোল করে সিটির জয় নিশ্চিত করেন। সিটির বিপক্ষে আগের দুটি ম্যাচে খেলতে পারেননি হলান্ড, আর সেই ম্যাচে সিটি হারেছিল। তবে, এই গোলটি সিটি জন্য গুরুত্বপূর্ণ ছিল এবং তারা ১-০ জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে। হলান্ড এই মৌসুমে ২৮ গোল করেছেন এবং তার সর্বশেষ ১১ ম্যাচে করেছেন ১০ গোল।
ফলাফল:
- লিভারপুল ২-০ নিউক্যাসল
- টটেনহাম ০-১ ম্যান সিটি
- নটিংহাম ০-০ আর্সেনাল
- ম্যান ইউনাইটেড ৩-২ ইপসউইচ