পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়ায় টানা তিন দিন দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছে, এবং মৃদু শৈত্যপ্রবাহ বইছে। মাঘ মাসের শুরুতেই শীতের প্রকোপ বৃদ্ধি পেয়েছে। রাতভর ঘন কুয়াশা ও উত্তরের হিমেল হাওয়ায় সাধারণ খেটে খাওয়া মনুষজন ভোগান্তিতে পড়েছেন।
তেঁতুলিয়া আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগার সূত্রে জানা গেছে, বৃহস্পতিবার সকাল ৯টায় সারা দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছে ৯.৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। বাতাসে আর্দ্রতা ৯৫ শতাংশ এবং বাতাসের গতি প্রতি ঘণ্টায় ১১ থেকে ১২ কিলোমিটার। সকাল ৮টার পর সূর্যের দেখা মিললেও আকাশে হালকা মেঘ এবং কুয়াশার উপস্থিতির কারণে রোদ তীব্রভাবে পৌঁছাতে পারে না।
এর আগে গত বুধবার সকাল ৯টায় তেঁতুলিয়ায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ৯.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস, এবং মঙ্গলবার সকাল ৯টায় ছিল ৯.৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। গত শুক্রবার পঞ্চগড়ের ওপর দিয়ে প্রথমবারের মতো মাঝারি শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যায়, এবং তেঁতুলিয়ায় ওই দিন সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ৭.৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস। তবে শনিবার থেকে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ শুরু হয়ে পরবর্তী কয়েকদিন তেঁতুলিয়ায় তাপমাত্রা ওঠানামা করে ১০.৫ থেকে ১২.৭ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে।
এদিন সকালে পঞ্চগড় সদর উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় ঘুরে দেখা যায়, হালকা কুয়াশার সঙ্গে বইছে উত্তরের হিমেল বাতাস। রাতভর কুয়াশার কারণে পিচঢালা পথ ভিজে গেছে, এবং সকালের শীতের মধ্যে কর্মজীবী মানুষজন কাজের খোঁজে বের হচ্ছেন। সূর্য ওঠার পর তাপমাত্রা কিছুটা বাড়লেও শীতের তীব্রতা বজায় থাকে।
শাহিনুর ইসলাম নামক এক নির্মাণশ্রমিক জানান, শীতের কারণে তার কাজে দেরি হয়েছে, এবং তীব্র ঠান্ডায় তার হাত-পা জমে যাচ্ছিল। তিনি আশা করছেন, রোদ উঠলে কাজ করতে আরাম হবে।
তেঁতুলিয়া আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জিতেন্দ্র নাথ রায় জানিয়েছেন, মৃদু শৈত্যপ্রবাহ অব্যাহত থাকতে পারে, তবে আকাশে মেঘ জমে তাপমাত্রা কিছুটা বড়তে পারে, যার ফলে শৈত্যপ্রবাহ সাময়িকভাবে কেটে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।