তামিম ইকবালের আন্তর্জাতিক ক্রিকেট ক্যারিয়ারের অবসান ঘটেছে। এখন প্রশ্ন উঠছে, সাকিব আল হাসানও কি একই পথে হাঁটবেন? তাঁর বোলিং অ্যাকশনে সমস্যা থাকার কারণে আগামীকাল চ্যাম্পিয়নস ট্রফির জন্য ঘোষিত ১৫ সদস্যের দলে সাকিবের নাম না থাকার সম্ভাবনা প্রায় নিশ্চিত। তবে, এ পরিস্থিতিতে আরেকটি প্রশ্ন সামনে আসে—তামিমের মতো সাকিবের আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ারও কি এখানেই শেষ হয়ে যাবে?
বর্তমান পরিস্থিতি অনুযায়ী, সাকিবের বোলিং অ্যাকশনের পরীক্ষা নিয়ে বিসিবির কাছ থেকে কোন ইতিবাচক খবর পাওয়া যায়নি। জানা যাচ্ছে যে, দলে তার অন্তর্ভুক্তি নিয়ে আর কোন আশাবাদও নেই। বিসিবি মনে করে, শুধু ব্যাটসম্যান হিসেবে সাকিব চ্যাম্পিয়নস ট্রফির মতো বড় টুর্নামেন্টে খেলার জন্য প্রস্তুত নন। ফলস্বরূপ, সাকিবকে নিয়ে কোনও অনিশ্চয়তা রাখার পক্ষে নয় বিসিবি, আর তাই তাকে দল থেকে বাদ দেওয়া হয়েছে।
তবে গাজী আশরাফ হোসেনের নির্বাচক কমিটি এই সিদ্ধান্তে অঘটন হিসেবে পড়েনি। কারণ, তামিম এবং সাকিবের চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে খেলার সম্ভাবনা শুরু থেকেই অনেকটাই কম ছিল। নির্বাচকরা যথাযথ প্রস্তুতি নিয়েই দল গুছিয়েছেন। তামিমের অভিজ্ঞতা এবং সাকিবের অলরাউন্ড পারফরম্যান্স বাংলাদেশ দল মিস করবে, তাতে সন্দেহ নেই।
সাকিবের বোলিং অ্যাকশনের সমস্যাটি গত সেপ্টেম্বর মাসে ইংল্যান্ডের সমারসেটের বিপক্ষে ম্যাচে উঠে আসে। সাকিব ৬৩ ওভার বোলিং করলেও, আম্পায়াররা তার বোলিং অ্যাকশন নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করেন। পরবর্তীতে সাকিবের বোলিং অ্যাকশন নিয় আরও পরীক্ষা করা হয়, কিন্তু ফলাফল খারাপ আসে। এর পরে সাকিবের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও, বর্তমানে তিনি পরিবারের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রে আছেন বলে জানা গেছে।
আইসিসির নিয়ম অনুযায়ী, সাকিব যদি তার বোলিং অ্যাকশন বৈধ করতে না পারেন, তবে ঘরোয়া ক্রিকেট ছাড়া আর কোথাও বোলিং করতে পারবেন না। এমন পরিস্থিতিতে সাকিবকে শুধু ব্যাটসম্যান হিসেবে চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে অনতর্ভুক্ত করা হবে কিনা, সেটি একটি বড় প্রশ্ন। তবে, যদি তিনি মধ্যবর্তী সময়ে অ্যাকশন ঠিক করতে সক্ষম হন, তবেই তার দলে ফেরার সুযোগ থাকবে।
এদিকে, সাকিব তার আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ারের শেষ ম্যাচটি গত বছর ভারত সফরে খেলেছিলেন। সে সময় তিনি টেস্ট থেকে অবসর নেওয়ার ঘোষণা দিলেও, রাজনৈতিক কারণে সেটি সম্ভব হয়নি। চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে তার অংশগ্রহণ না হলেও, ক্রিকেটপ্রেমীদর মধ্যে সাকিবের ভবিষ্যৎ নিয়ে কৌতুহল এবং আলোচনা চলতেই থাকবে, কারণ তিনি নিজে কখনও অবসরের ঘোষণা দেননি।