বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) মহাপরিচালক তেদরোস আধানোম গেব্রেয়াসুস ইয়েমেনের প্রধান বিমানবন্দরে ইসরায়েলি বিমান হামলায় প্রাণে বেঁচে যাওয়ার অভিজ্ঞতা বর্ণনা করেছেন। তিনি বলেন, ওই হামলায় তিনি একদম শঙ্কার মধ্যে ছিলেন, ঠিকমতো বাঁচতে পারবেন কিনা তা নিয়ে সন্দেহ ছিল। শুক্রবার তিনি এসব কথা প্রকাশ করেন।
গত বৃহস্পতিবার ইয়েমেনের রাজধানী সানার আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে ইসরায়েল বিমান হামলা চালায়। ওই সময় তেদরোস বিমানবন্দরেই অবস্থান করছিলেন। বিস্ফোরণের শব্দ এতটাই তীব্র ছিল যে একদিন পরেও সেটি তাঁর কানে বাজছিল, এমনটি উল্লেখ করেন তিনি।
তেদরোস আধানোম বলেন, হামলার পর দ্রুতই বুঝতে পারলেন যে বিমানবন্দরটি হামলার শিকার হয়েছে। প্রায় চারটি বিস্ফোরণের পর লোকজন দিশেহারা হয়ে ছুটোছুটি করতে শুরু করেছিল। তিনি জানান, ঘটনাস্থলের কাছেই অপেক্ষা করছিলেন, আর একটি বিস্ফোরণ তাঁর খুব কাছ দিয়েই ঘটেছিল।
রয়টার্সকে ডব্লিউএইচওর প্রধান বলেন, “আমি বুঝতে পারছিলাম না, বাঁচব কি না। কারণ, বিস্ফোরণটি ছিল আমাদের কাছাকাছি। কয়েক মিটার দূরত্বে বিস্ফোরণ ঘটলে সরাসরি আঘাত লাগতে পারত।” হামলার পর সহকর্মীদের সঙ্গে তিনি বিমানবন্দরে প্রায় এক ঘণ্টা আটকা ছিলেন। এই সময় মাথার ওপর দিয়ে ড্রোন উড়ে যাচ্ছিল, যা তাঁকে ভয় দেখাচ্ছিল, আবারও হামলা হতে পারে এমন শঙ্কা ছিল। তিনি বলেন, ধ্বংসস্তূপের মধ্যে তিনি ও তাঁর সহকর্মীরা ক্ষেপণাস্ত্রের টুকরা দেখতে পান।
তেদরোস আরও বলেন, বিমানবন্দরে আশ্রয় নেওয়ার মতো কোনও নিরাপদ জায়গা ছিল না, ফলে তাঁরা খুবই আতঙ্কিত ছিলেন।
ইয়েমেনের হুতি বিদ্রোহীরা ইসরায়েলে ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালানোর পর সানায় এই হামলা চালায় তেল আবিব। হুতি বিদ্রোহীরা দাবি করেছে, তারা গাজায় ফিলিস্তিনিদের সঙ্গে সংহতি জানাতে ইসরায়েলে হামলা চালিয়েছে।
হুতিনিয়ন্ত্রিত বার্তা সংস্থা সাবার খবরে বলা হয়েছে, সানা বিমানবন্দরে হামলায় তিনজন নিহত এবং হোদেইদাহ এলাকায় হামলায় আরও তিনজন নিহত হয়েছেন। এছাড়া, এসব হামলায় প্রায় ৪০ জন আহত হয়েছেন।