মা সোনিয়া ও বড় ভাই রাহুলের পর এবার সংসদ সদস্য হতে চলেছেন প্রিয়াঙ্কা গান্ধী। ভারতের কেরালা রাজ্যের ওয়েনাড লোকসভা কেন্দ্রের উপনির্বাচনে সিপিআই ও বিজেপি প্রার্থীদের অনেক পিছনে ফেলে জয়ী হয়েছেন তিনি।
লোকসভা ভোটে রাহুল গান্ধী দুই কেন্দ্র থেকে জয়ী হয়েছিলেন—উত্তর প্রদেশের রায়বেরিলি ও কেরালার ওয়েনাড। পরে ওয়েনাড কেন্দ্রটি ছেড়ে দিলে সেখানে উপনির্বাচনে জীবনে প্রথমবার ভোটপ্রার্থী হন প্রিয়াঙ্কা।
প্রিয়াঙ্কার জয় নিয়ে কোনো সংশয় ছিল না, তবে একমাত্র প্রশ্ন ছিল—রাহুলের চেয়ে বেশি ভোট পেয়ে তিনি বড় ব্যবধানে জয়ী হবেন কি না। শনিবারের গণনায় দেখা গেছে, বিকেল ৪টার দিকে প্রিয়াঙ্কা তাঁর দুই প্রতিদ্বন্দ্বীর চেয়ে ৪ লাখেরও বেশি ভোটে এগিয়ে আছেন।
এই বছরের জুনে লোকসভা নির্বাচনে রাহুল গান্ধী পেয়েছিলেন ৬ লাখ ৪৭ হাজার ভোট এবং তাঁর জয়ী হওয়ার মার্জিন ছিল ৩ লাখ ৬৪ হাজার। তবে বিকেল ৪টা পর্যন্ত প্রিয়াঙ্কা পেয়েছেন ৬ লাখ ১৮ হাজার ভোট, এবং তিনি সিপিআই প্রার্থী সত্যেন মোকেরিকে ৪ লাখ ভোটের ব্যবধানে পেছনে ফেলেছেন। জয় নিশ্চিত হওয়ার পর প্রিয়াঙ্কা এক্স (আগের টুইটার) মারফত বলেন, “এই জয়ে আমি অভিভূত। সংসদে আপনাদের আওয়াজ আমি পৌঁছে দেব এবং আপনাদের স্বপ্নপূরণে আমি আপনাদের হয়ে লড়াই করব।”
ওয়েনাড ছাড়াও লোকসভায় উপনির্বাচন হয়েছে মহারাষ্ট্রের নানদেদ আসনে, যেখানে কংগ্রেস প্রার্থী চবন রবীন্দ্র বসন্তরাও বিজেপি প্রার্থী সান্তুকরাও হামবরদেকে ২ হাজার ভোটের ব্যবধানে হারিয়ে দিয়েছেন।
এছাড়া, ১৪ রাজ্যের ৪৭ বিধানসভা আসনে উপনির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য ছিল উত্তর প্রদেশের ৯ আসনের উপনির্বাচন। সেখানে বিজেপির পারফরম্যান্স ছিল খারাপ, তবে বিকেল পর্যন্ত গণনায় দেখা যাচ্ছে, বিজেপি নিজেদের ৫টি আসন ধরে রেখেছে এবং সমাজবাদী পার্টির কাছ থেকে একটি আসন ছিনিয়ে নিয়েছে।
পাঞ্জাবে ৪ আসনের উপনির্বাচনে আম আদমি পার্টি ৩টি আসন এবং কংগ্রেস ১টি আসন জয়ী হয়েছে। কর্ণাটকেও ৩টি আসনে কংগ্রেস বিজয়ী হয়েছে। তবে আসামে কংগ্রেস ১টি আসন হারিয়েছে, যেখানে বিজেপি নেতৃত্বাধীন এনডিএ সবকটি ৫ আসনই জিতেছে।
বিহারে ৪টি আসন এনডিএর দখলে গেছে, আর রাজস্থান ও মধ্যপ্রদেশে কংগ্রেস একটি করে আসন জিতেছে। উত্তরাখণ্ড, ছত্তিশগড় ও গুজরাটে বিজেপি এককভাবে জয়ী হয়েছে।
পশ্চিমবঙ্গে বিজেপি বড় ধাক্কা খেয়েছে। সেখানে ৬ আসনের উপনির্বাচনের সবকটিতেই তৃণমূল কংগ্রেস জয়ী হয়েছে, এবং বিজেপির একটি আসনও তারা ছিনিয়ে নিয়েছে। এতে বোঝা যাচ্ছে, আর জি কর হাসপাতালের ঘটনা তৃণমূল কংগ্রেসের বিরুদ্ধে কোনো প্রভাব ফেলেনি।