নির্বাচনব্যবস্থা সংস্কারের লক্ষ্যে গত শনিবার সকালে নির্বাচন ভবনে বেসরকারি টেলিভিশনের জ্যেষ্ঠ সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময় করে নির্বাচনব্যবস্থা সংস্কার কমিশন। এ সভায় বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ প্রস্তাব উঠে এসেছে, যার মধ্যে ছিল—স্থানীয় সরকার নির্বাচন নির্দলীয় করার প্রস্তাব, জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে স্থানীয় সরকার নির্বাচন আয়োজন, সব স্থানীয় সরকার নির্বাচন একই দিনে অনুষ্ঠিত করা, এবং রাষ্ট্রপতি নির্বাচনসহ সব নির্বাচন সরাসরি ভোটে করার বিষয়।
এছাড়া নির্বাচন কমিশনার নিয়োগ রাজনৈতিক ঐকমত্যের ভিত্তিতে করার সুপারিশও উঠে আসে। নির্বাচনে প্রযুক্তির ব্যবহারের পাশাপাশি হলফনামার তথ্য যাচাই-বাছাইয়ের ব্যবস্থা করা এবং বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় কাউকে নির্বাচিত না হওয়ার ব্যবস্থা নেওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়।
বদিউল আলম মজুমদার, যিনি কমিশনের চেয়ারম্যান, সাংবাদিকদের জানান যে কমিশন এখনো কোনো সিদ্ধান্ত নেয়নি এবং তারা সব পক্ষের মতামত গ্রহণ করছে। পরবর্তীতে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
এদিনের সভায় স্থানীয় সরকার বিশেষজ্ঞ তোফায়েল আহমেদ আরও জানান, জাতীয় নির্বাচনের আগে স্থানীয় সরকার নির্বাচন আয়োজনের প্রস্তাবটি এসেছে, যাতে নির্বাচন কমিশনের সক্ষমতা বৃদ্ধি পাবে এবং একটি পরীক্ষামূলক সুযোগ তৈরি হবে। তিনি মনে করেন, দেশের পাঁচটি স্তরের স্থানীয় সরকার নির্বাচন—ইউনিয়ন পরিষদ, পৌরসভা, উপজেলা, সিটি করপোরেশন ও জেলা পরিষদ—একই দিনে অনুষ্ঠিত হওয়া উচিত, এবং এ জন্য একটি সমন্বিত আইন থাকা প্রয়োজন।
এছাড়া তিনি আরও বলেন, বর্তমানে স্থানীয় সরকারগুলো আলাদা আলাদা আইনে পরিচালিত হয় এবং এদের মধ্যে কোনো সমন্বিত ব্যবস্থা নেই। তবে, সব নির্বাচন একই দিনে হলে নির্বাচন ব্যবস্থার কার্যকারিতা বাড়বে বলে তিনি মনে করেন।
একমাত্র ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে কমিশন তাদের সংস্কার প্রস্তাব তৈরি করার কথা জানিয়েছে, তবে এখনও তারা কোনো প্রস্তাব বা সুপারিশ চূড়ান্ত করেনি।