ভোটের পর জম্মু–কাশ্মীরে শান্তির সংকট: রাজনৈতিক বিতর্ক ও জঙ্গি তৎপরতা
ভারত নিয়ন্ত্রিত জম্মু–কাশ্মীরে ভোটের আগে শান্তি ফিরিয়ে আনার যে দাবি ছিল, এখন সেই দাবি নতুন করে প্রশ্নের মুখে। ভোটের পর নতুন সরকার গঠনের সময় থেকে জঙ্গি কার্যকলাপ বেড়ে গেছে। এই পরিস্থিতিতে রাজনৈতিক বিতর্কও শুরু হয়েছে: কি ফিরছে জম্মু–কাশ্মীরের আগের অনিশ্চিত দিনগুলো?
দীর্ঘ ১০ বছর পর ভূস্বর্গে বিধানসভার ভোট অনুষ্ঠিত হয়েছে। তিন দফার ভোট শেষে ১ অক্টোবর নির্বাচনের ফল প্রকাশিত হয়, যেখানে ন্যাশনাল কনফারেন্স (এনসি) জয়লাভ করে। ১৬ অক্টোবর ওমর আবদুল্লাহ আবারও মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে শপথ নেন। কিন্তু তার পর থেকেই ১৯ দিনে ১০টি সন্ত্রাসবাদী হামলার ঘটনা ঘটে, যেখানে সেনা, সাধারণ মানুষ ও চিকিৎসকদের প্রাণহানি ঘটেছে। শ্রীনগরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।
সন্ত্রাসী হামলার পিছনে রাজনৈতিক উদ্দেশ্য রয়েছে কিনা, তা নিয়েও সন্দেহ প্রকাশ করেছেন এনসির সভাপতি ফারুক আবদুল্লাহ। তিনি অভিযোগ করেছেন যে নতুন সরকারকে অস্থিতিশীল করতে কেউ এই হামলাগুলি করছে। বিজেপির পক্ষ থেকে অবশ্য এই অভিযোগ অস্বীকার করা হয়েছে এবং তারা পাকিস্তানের দিকে আঙুল তুলেছে।
কংগ্রেসও একই ধরনের সন্দেহ প্রকাশ করেছে, বলছে, ভোটের পর কেন হঠাৎ করে হামলা শুরু হলো, তা উদ্বেগের বিষয়। এই পরিস্থিতিতে জম্মু–কাশ্মীরের রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে দ্রুত রাজ্যের মর্যাদা ফেরানোর দাবি জোরালো হয়েছে, যদিও কেন্দ্রীয় সরকারের পক্ষ থেকে তা নিয়ে কোনও স্পষ্ট প্রতিশ্রুতি আসেনি।
বিধানসভার প্রথম অধিবেশন সোমবার শুরু হবে, যেখানে রাজ্যের মর্যাদা ফিরিয়ে আনার বিষয়ে আলোচনা হতে পারে। তবে রাজনৈতিক নেতাদের মধ্যে চলমান সন্দেহ ও অবিশ্বাসের আবহে সন্ত্রাসী হামলার বাড়তি চাপ নিয়ে কেন্দ্রীয় সরকারের কোনও ব্যাখ্যা এখনও পাওয়া যায়নি।