“অপরিকল্পিত ঋণের বৃহৎ বোঝা: সরকারি আয় ও ব্যয়ের মধ্যে ভারসাম্যের অভাব”


সরকারি আয় ও ব্যয়ের ভারসাম্যহীনতা


যে কোন ধরণের ওয়েবসাইট তৈরি করতে আমাদের সাথে যোগাযোগ করুন।
৫০% পর্যন্ত ডিসকাউন্টে তৈরি করুন আপনার প্রতিষ্ঠানের জন্য
কর্পােরেট ওয়েবসাইট
ই-কমার্স ওয়েবসাইট অথবা নিউজপোর্টাল  ওয়েবসাইট।

বর্তমানে সরকারের আয় ও ব্যয়ের মধ্যে একটি উল্লেখযোগ্য ভারসাম্য নেই, যা মূলত রাজস্ব আহরণ এবং সরকারি ব্যয়ের সুষ্ঠু পরিকল্পনার অভাবে ঘটছে। এর ফলে আর্থিক শৃঙ্খলা রক্ষা করা সম্ভব হচ্ছে না এবং সরকারকে বছরের মধ্যে বিপুল পরিমাণ ঋণ নিতে বাধ্য হতে হচ্ছে, যার ফলে সুদ পরিশোধের চাপ বাড়ছে।

অর্থ মন্ত্রণালয়ের অর্থ বিভাগ সম্প্রতি এক চিঠির মাধ্যমে মন্ত্রিপরিষদ সচিবসহ সব মন্ত্রণালয় ও বিভাগের সচিবদের, সশস্ত্র বাহিনী বিভাগের প্রধান কর্মকর্তা ও বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেলকে এ বিষয়ে অবহিত করেছে। চিঠিতে বাজেট বাস্তবায়নে মনোযোগী হওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।

অর্থ বিভাগ জানাচ্ছে, প্রতিটি মন্ত্রণালয় ও বিভাগ তাদের বাজেট বরাদ্দ থেকে বেতন-ভাতা ঠিকমতো নিচ্ছে, কিন্তু বাজেটে ঘোষিত কার্যক্রম বাস্তবায়ন, রাজস্ব সংগ্রহ, ব্যয় পরিকল্পনা এবং বৈদেশিক অনুদান ও ঋণ গ্রহণের জন্য যথাযথ পরিকল্পনা তৈরি করছে না।


২০২৪-২৫ অর্থবছরের বাজেটেও কিছু কার্যক্রম ঘোষণা করা হয়েছে, কিন্তু সুষ্ঠুভাবে বাস্তবায়নের জন্য নির্দিষ্ট পরিকল্পনা প্রয়োজন। পূর্ববর্তী অভিজ্ঞতা থেকে দেখা যায়, বাজেট বাস্তবায়নে প্রথমার্ধে গতি কম থাকে, এবং রাজস্ব সংগ্রহও ধীর গতিতে হয়।

জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) অনুযায়ী, গত জুলাই-সেপ্টেম্বর তিন মাসে তাদের রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৯৬ হাজার ৫০০ কোটি টাকা, কিন্তু আদায় হয়েছে মাত্র ৭০ হাজার ৯০৩ কোটি টাকা, যার ফলে ২৫ হাজার ৫৯৭ কোটি টাকার ঘাটতি সৃষ্টি হয়েছে। বর্ষাকালে কাজের অভাব এবং জুলাই মাসে আন্দোলনের কারণে রাজস্ব আদায়ে সমস্যা হয়েছে।

অর্থ বিভাগের চিঠিতে বলা হয়েছে, সরকারি ব্যয়ের মান বজায় রাখতে হলে বিভিন্ন পরিষেবার বিল, নির্মাণকাজ ও মালামাল ক্রয়ের মতো কার্যক্রম বছর শেষের দিকে না করে বছরের শুরু থেকেই করা উচিত। এ জন্য বেতন-ভাতার বরাদ্দ সমানভাবে ত্রৈমাসিক ভিত্তিতে রাখা এবং আগের মাসের ইউটিলিটি বিল পরিশোধের জন্য তৃতীয় সপ্তাহের মধ্যে ব্যবস্থা নেওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।


প্রথম ত্রৈমাসিক থেকেই মেরামত ও রক্ষণাবেক্ষণের কাজ শুরু করার প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর দেওয়া হয়েছে এবং ত্রৈমাসিকগুলোতে যথাযথ বরাদ্দ রাখার বিষয়টি নিশ্চিত করার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

সব মন্ত্রণালয় ও দপ্তরকে বাজেট বাস্তবায়নের অগ্রগতি নিয়ে পরিবীক্ষণ প্রতিবেদন দাখিলের জন্যও নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। সরকারি অর্থ ও বাজেট ব্যবস্থাপনা আইন অনুযায়ী, তিন মাস পর পর রাজস্ব সংগ্রহ ও ব্যয়ের গতিধারা পর্যালোচনা করা উচিত, কিন্তু সংসদ না থাকায় অর্থ বিভাগই এ দায়িত্ব পালন করছে।

অর্থ বিভাগের সূত্র মতে, প্রথম ত্রৈমাসিকের পরিবীক্ষণ প্রতিবেদন পাঠানোর শেষ তারিখ ছিল গত রবিবার, কিন্তু অনেক মন্ত্রণালয় ও দপ্তর এখনও প্রতিবেদন জমা দেয়নি।

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।