অনলাইন বুলিং: কিভাবে প্রতিরোধ করা যায়?
অনলাইন প্ল্যাটফর্ম যতই জনপ্রিয় হচ্ছে, ততই বাড়ছে এর নেতিবাচক দিক—তার মধ্যে একটি হলো অনলাইন বুলিং। এটি এমন এক প্রক্রিয়া যেখানে কাউকে ইচ্ছাকৃতভাবে অপমান, হেয়, ভয় দেখানো বা মানসিকভাবে আঘাত করা হয় সোশ্যাল মিডিয়া, চ্যাট, কমেন্ট বা মেসেজের মাধ্যমে।
বিশেষ করে কিশোর-কিশোরীরা অনলাইন বুলিংয়ের সবচেয়ে বড় শিকার। কেউ যদি বেশি মোটা, কালো, কম সুন্দর, ভালো ইংরেজি বলতে না পারে—তাকে নিয়ে ট্রল বা অপমান করা খুব সাধারণ বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। এর ফলে অনেকেই মানসিকভাবে ভেঙে পড়ে, আত্মবিশ্বাস হারিয়ে ফেলে এবং কারো কারো ক্ষেত্রে তা আত্মহত্যার মতো চরম সিদ্ধান্তেও পৌঁছাতে পারে।
অনলাইন বুলিং প্রতিরোধের জন্য প্রথম কাজ হলো সচেতনতা। যদি কেউ এমন পরিস্থিতির মুখোমুখি হয়, তাহলে চুপ না থেকে তা পরিবারের সদস্য, শিক্ষক বা কোনো বিশ্বাসযোগ্য ব্যক্তিকে জানানো উচিত। অনেক সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মে এখন রিপোর্ট, ব্লক ও মিউট করার সুবিধা রয়েছে—সেগুলো ব্যবহার করতে হবে।
প্রতিটি অভিভাবক ও শিক্ষক-শিক্ষিকাকে কিশোরদের সঙ্গে খোলামেলা আলোচনা করতে হবে যেন তারা বুঝতে পারে—তাদের পাশে দাঁড়ানোর মানুষ আছে। পাশাপাশি সমাজকেও সচেতন হতে হবে, যেন কেউ আর “মজা” করার নামে কাউকে আঘাত না করে।
সবশেষে, ইন্টারনেট একটি শক্তিশালী মাধ্যম—তা যেন কখনো কারো আত্মবিশ্বাস ভাঙার অস্ত্র না হয়ে ওঠে। সবার জন্য একটি নিরাপদ ও সহনশীল ডিজিটাল সমাজ গড়ে তোলার দায়িত্ব আমাদেরই।