শর্ট ভিডিও কালচার: তরুণ সমাজের নতুন নেশা
টিকটক, রিলস, ইউটিউব শর্টস—এই সব প্ল্যাটফর্মে এখন সর্বত্র চলছে শর্ট ভিডিওর জয়যাত্রা। মাত্র ১৫-৩০ সেকেন্ডের মজার, নাচের, কমেডি বা ট্রেন্ডিং ভিডিও দেখে ঘণ্টার পর ঘণ্টা পার করে দিচ্ছে তরুণ প্রজন্ম। এই “শর্ট ভিডিও কালচার” এখন শুধু বিনোদনের মাধ্যম নয়, অনেকের জন্য এটি একপ্রকার নেশায় পরিণত হয়েছে।
তরুণরা আজকাল সহজেই এই ভিডিও কনটেন্ট তৈরি ও শেয়ার করতে পারছে, যা তাদের মধ্যে একধরনের তাৎক্ষণিক জনপ্রিয়তা পাওয়ার আকাঙ্ক্ষা তৈরি করছে। কেউ ভাইরাল হচ্ছে, কেউ হাজার হাজার ফলোয়ার পাচ্ছে—ফলে এই দৌড়ে সবাই থাকতে চায়।
তবে এর নেতিবাচক দিকও আছে। এত কম সময়ে মনোযোগ ধরে রাখা সহজ নয়, ফলে তরুণদের মনোযোগের পরিধি কমে যাচ্ছে। পড়াশোনায় মন বসছে না, বাস্তব জীবনের প্রতিযোগিতা ও কঠিন পরিশ্রম থেকে দূরে সরে যাচ্ছে অনেকে। শুধু তাই না, অনেক সময় অনৈতিক বা বিতর্কিত বিষয়ও ভাইরাল করার লোভে ছড়িয়ে পড়ছে সমাজে নেতিবাচক বার্তা।
এই সমস্যার সমাধানে দরকার সচেতনতা। শর্ট ভিডিও প্ল্যাটফর্মকে ব্যবহার করা যেতে পারে শিক্ষামূলক, সামাজিক সচেতনতা তৈরি ও ইতিবাচক বার্তা ছড়ানোর কাজে। পাশাপাশি অভিভাবক ও শিক্ষক-শিক্ষিকার ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ—তরুণদের সময় ব্যবস্থাপনা ও মানসিক ভারসাম্য বজায় রাখতে সহায়তা করতে হবে।
সবশেষে, শর্ট ভিডিও হোক বিনোদনের মাধ্যম, কিন্তু তা যেন আমাদের জীবন থেকে বাস্তবতা ও মূল্যবোধকে সরিয়ে না দেয়।