সোশ্যাল মিডিয়া ও ডিজিটাল সচেতনতায় ১০ গুরুত্বপূর্ণ আলোচনা

ডিজিটাল ডিপ্রেশন: ফেসবুক-ইনস্টাগ্রামের ছদ্মজীবনে মানসিক চাপ

বর্তমান সময়ে ফেসবুক, ইনস্টাগ্রাম, টিকটক ইত্যাদি সামাজিক মাধ্যম আমাদের জীবনের অবিচ্ছেদ্য অংশ হয়ে উঠেছে। এখানে প্রতিদিন দেখা যায় ঝকঝকে ছবি, সফলতার গল্প, বিলাসবহুল জীবনযাপন—যা দেখে অনেকেই ভাবেন, “আমার জীবন এত সুন্দর কেন নয়?” এই তুলনামূলক মানসিকতা থেকেই জন্ম নিচ্ছে এক নতুন মানসিক সমস্যা—ডিজিটাল ডিপ্রেশন।

এই সমস্যা তখনই শুরু হয় যখন কেউ বারবার অন্যের পোস্ট দেখে নিজেকে ছোট বা ব্যর্থ মনে করতে থাকে। বাস্তবে সবাই সব সময় সুখী থাকে না, কিন্তু সোশ্যাল মিডিয়ায় সবাই নিজেদের সেরা দিকটাই তুলে ধরে। ফলে আমাদের মধ্যে তৈরি হয় হতাশা, হীনমন্যতা ও আত্মবিশ্বাসের ঘাটতি।

বিশেষ করে কিশোর-তরুণদের মধ্যে এই প্রবণতা বেশি দেখা যায়। লাইক-কমেন্টের সংখ্যার উপর নির্ভর করে নিজের মূল্য নির্ধারণ করার প্রবণতা তৈরি হয়েছে। অনেক সময় দেখা যায়—একটা ছবি বা ভিডিওতে কাঙ্ক্ষিত সাড়া না পেলে মানসিকভাবে ভেঙে পড়ে অনেকে।

এই সমস্যার সমাধানে দরকার সচেতনতা। সোশ্যাল মিডিয়ার ‘শো-অফ’ দিকটা বুঝতে হবে, এবং মনে রাখতে হবে—সবার জীবনে চ্যালেঞ্জ থাকে, শুধু তা পোস্ট হয় না। নিজেকে অন্যের সঙ্গে তুলনা না করে নিজের লক্ষ্য ও জীবনের বাস্তবতা অনুযায়ী চলতে হবে।

শেষ কথা, ভার্চুয়াল জগতে ‘পারফেক্ট লাইফ’-এর ফাঁদে পড়ে যেন আমরা আমাদের প্রকৃত জীবনের আনন্দ ভুলে না যাই।

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।