ভার্চুয়াল জগতে কিশোরদের আসক্তি ও তার প্রভাব
আজকের কিশোর-কিশোরীরা বড় হচ্ছে এক ভার্চুয়াল দুনিয়ায়, যেখানে মোবাইল, গেম, সোশ্যাল মিডিয়া, ইউটিউব ও টিকটকের মতো প্ল্যাটফর্মগুলো তাদের প্রতিদিনের সঙ্গী। এই প্রযুক্তি নির্ভরতাই এখন ধীরে ধীরে আসক্তিতে পরিণত হচ্ছে, যার ফলাফল হচ্ছে শারীরিক, মানসিক ও সামাজিক সমস্যা।
প্রতিদিন ঘণ্টার পর ঘণ্টা স্ক্রিনের সামনে কাটানো আজ অনেক কিশোরের অভ্যাসে পরিণত হয়েছে। এর ফলে পড়াশোনায় মনোযোগ কমে যাচ্ছে, ঘুমের সমস্যা হচ্ছে, চোখের সমস্যা দেখা দিচ্ছে এবং সামাজিক মেলামেশা থেকেও তারা দূরে সরে যাচ্ছে।
মানসিকভাবে, এই আসক্তি থেকে জন্ম নিচ্ছে অস্থিরতা, বিষণ্নতা ও আত্মবিশ্বাসের অভাব। ভার্চুয়াল জগতে নিজেকে “পারফেক্ট” দেখানোর চাপে পড়ে কিশোরেরা নিজেদের বাস্তব জীবন নিয়ে হতাশায় ভুগছে। একেকজনের মনে হচ্ছে—“আমার জীবন এত সুন্দর নয় কেন?”
এই সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্য দরকার পরিবারের ভূমিকা। বাবা-মাকে কিশোরদের সঙ্গে খোলামেলা কথা বলতে হবে, তাদের প্রযুক্তি ব্যবহারের সীমা নির্ধারণ করতে হবে এবং বিকল্পভাবে বই পড়া, খেলাধুলা, সাংস্কৃতিক চর্চার সুযোগ করে দিতে হবে।
সবশেষে, ভার্চুয়াল জগত একেবারে খারাপ নয়, তবে অতিরিক্ত নির্ভরতা বিপজ্জনক। প্রযুক্তিকে যেন কিশোরেরা ব্যবহার করে, প্রযুক্তি যেন কিশোরদের ব্যবহার না করে—সেদিকেই নজর দেওয়া জরুরি।