পর্ব ৫: ঘুমের অভাবের দীর্ঘমেয়াদি প্রভাব
অনেকেই মনে করেন, রাতে একটু কম ঘুমালেও তেমন কিছু হবে না। কিন্তু নিয়মিত ঘুমের অভাব ধীরে ধীরে শরীর ও মনের উপর গভীর ও বিপজ্জনক প্রভাব ফেলে—যা অনেক সময় আমরা বুঝতেও পারি না।
১. মনঃসংযোগ ও মস্তিষ্কের কার্যকারিতা কমে যায়:
ঘুম কম হলে মস্তিষ্ক ঠিকভাবে বিশ্রাম পায় না, ফলে স্মৃতিশক্তি দুর্বল হয় এবং কাজের প্রতি মনোযোগও কমে যায়।
২. মানসিক সমস্যা বৃদ্ধি পায়:
ঘুমের অভাব দীর্ঘদিন চলতে থাকলে উদ্বেগ, বিষণ্নতা বা রাগের প্রবণতা বাড়ে। মেজাজ খিটখিটে হয়ে যায়, সামান্য বিষয়েও মানুষ হতাশ হয়ে পড়ে।
৩. রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে যায়:
ঘুম শরীরকে নিজেকে সারানোর সময় দেয়। ঘুম কম হলে শরীর দুর্বল হয়ে পড়ে এবং সহজেই রোগে আক্রান্ত হয়।
৪. হার্ট ও ডায়াবেটিসের ঝুঁকি বৃদ্ধি পায়:
কম ঘুম রক্তচাপ, রক্তে চিনির পরিমাণ এবং হার্ট রেটের উপর প্রভাব ফেলে, ফলে দীর্ঘমেয়াদে হৃদরোগ বা ডায়াবেটিসের আশঙ্কা বেড়ে যায়।
সমাধান:
• ঘুমকে অগ্রাধিকার দিন—এটা কোনো বিলাসিতা নয়, বরং শরীরের প্রয়োজন।
• রাতে নিয়মিত ৭-৮ ঘণ্টা ঘুমের চেষ্টা করুন।
• ঘুমে সমস্যা থাকলে দ্রুত কারণ খুঁজে সমাধান করুন।
ঘুম শুধু বিশ্রাম নয়—এটি শরীর ও মনের সুস্থ জীবনের মূল চাবিকাঠি। তাই ঘুমকে গুরুত্ব দিন, যাতে ভবিষ্যৎ থাকে সুস্থ ও সজীব।