ক্রিপ্টোকারেন্সি: ভবিষ্যতের মুদ্রা

বিশ্বে জনপ্রিয় ৫টি ক্রিপ্টোকারেন্সি

বিটকয়েন (Bitcoin – BTC)

• প্রবর্তক: সাতোশি নাকামোতো

• বছর: ২০০৯

• সর্বোচ্চ সরবরাহ: ২১ মিলিয়ন কয়েন

• বিশেষত্ব: প্রথম এবং সবচেয়ে মূল্যবান ক্রিপ্টোকারেন্সি। পিয়ার-টু-পিয়ার প্রযুক্তি ব্যবহার করে লেনদেন। ‘ডিজিটাল সোনা’ হিসেবে পরিচিত।

• ব্যবহার: অনলাইন পেমেন্ট, আন্তর্জাতিক লেনদেন, ডিজিটাল সম্পদ হিসেবে হোল্ড।

বিটকয়েন (Bitcoin – BTC): আধুনিক ডিজিটাল মুদ্রার অগ্রদূত

বিটকয়েন (Bitcoin) হলো বিশ্বের প্রথম এবং সর্বাধিক পরিচিত ক্রিপ্টোকারেন্সি, যা ২০০৯ সালে সাতোশি নাকামোতো নামক এক ছদ্মনামধারী ব্যক্তি বা গোষ্ঠী তৈরি করেন। এটি একটি বিকেন্দ্রীভূত ডিজিটাল মুদ্রা, যার লেনদেন ব্লকচেইন নামক একটি পাবলিক লেজারের মাধ্যমে পরিচালিত হয়। বিটকয়েনের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বৈশিষ্ট্য হলো, এটি কোনো কেন্দ্রীয় ব্যাংক বা সরকারের নিয়ন্ত্রণাধীন নয়।

প্রতিটি বিটকয়েন লেনদেন একটি ব্লকে রেকর্ড হয় এবং সেই ব্লকগুলো ক্রিপ্টোগ্রাফির মাধ্যমে একে অপরের সাথে সংযুক্ত থাকে। এর ফলে লেনদেন নিরাপদ, স্বচ্ছ এবং পরিবর্তন-অযোগ্য হয়। বিটকয়েনের মোট সরবরাহ সীমিত—মাত্র ২১ মিলিয়ন—যার ফলে এটি “ডিজিটাল সোনা” নামে পরিচিত।

বর্তমানে বিটকয়েন একটি বিনিয়োগ মাধ্যম, অর্থপ্রদান পদ্ধতি এবং মূল্য সংরক্ষণের উপায় হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছে। যদিও এর মূল্য অনেক সময় ওঠানামা করে, তবে দীর্ঘমেয়াদে এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ আর্থিক সম্পদে পরিণত হয়েছে। প্রযুক্তির সঙ্গে সঙ্গে বিটকয়েনও ক্রমশ গ্রহণযোগ্যতা পাচ্ছে এবং ভবিষ্যতের অর্থনৈতিক ব্যবস্থার এক অপরিহার্য অংশ হয়ে উঠছে।

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।