বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার বাইশারী ইউনিয়নের রাঙ্গাঝিরি এলাকায় তৈয়বা বেগম (৪৩) নামে এক নারীর গলাকাটা লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। গতকাল শুক্রবার রাতে এলাকাটির বিলের পাড় থেকে পুলিশ তাঁর মৃতদেহ উদ্ধার করে। হত্যার ঘটনায় সন্দেহভাজন হিসেবে আজ শনিবার সকালে এক যুবক, মোহাম্মদ ফারুক (২২), যিনি পাশের বাজারে কানের দুল বিক্রি করতে এসেছিলেন, তাঁকে এলাকাবাসী আটক করে। স্থানীয়দের ধারণা, ওই কানের দুল তৈয়বা বেগমের ছিল।
নিহত তৈয়বা বেগম রাঙ্গাঝিরি এলাকার সিরাজুল ইসলামের স্ত্রী। স্থানীয় বাসিন্দা এবং জনপ্রতিনিধিরা জানান, গতকাল বিকেলে তৈয়বা বেগম গরু আনতে বিলের পাড়ে গিয়েছিলেন, কিন্তু এরপর তিনি ফিরে আসেননি। সন্ধ্যায় পরিবারের সদস্যরা তাঁকে খুঁজতে বের হলে বিলের পাড়ে তাঁর মৃতদেহ দেখতে পান। মৃতদেহের গলায় ও হাতের কবজি কাটা এবং মাথায় আঘাতের চিহ্ন ছিল। পরিবারের সদস্যরা জানান, তৈয়বা বেগমের কানে দুল পরা ছিল, তবে লাশ উদ্ধারকালে দুল পাওয়া যায়নি।
বাইশারী ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান মোহাম্মদ আলম জানান, তৈয়বা বেগমের হত্যাকাণ্ডে এলাকাবাসীর মধ্যে আতঙ্ক তৈরি হয়েছে। আজ সকালে, পার্শ্ববর্তী ঈদগড় বাজারে এক সোনার দোকানে রাঙ্গাঝিরি এলাকার মোহাম্মদ ফারুক একটি সোনার কানের দুল বিক্রি করতে যান। সোনার দোকানের মালিকের সন্দেহ হলে তিনি স্থানীয় ইউপি সদস্যকে বিষয়টি জানান, পরে এলাকাবাসী মোহাম্মদ ফারুককে আটক করেন। কানের দুলটি শনাক্তের জন্য তৈয়বার পরিবারের সদস্যদের খবর দেওয়া হয়েছে।
নাইক্ষ্যংছড়ি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মাসরুরুল হক জানান, তৈয়বা বেগমের লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য বান্দরবান সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। হত্যাকাণ্ডের কারণ এবং কে বা কারা তাকে হত্যা করেছে, তা তদন্তের মাধ্যমে জানা যাবে। এলাকার বাসিন্দা একজনকে আটক করার খবর পাওয়ার পর পুলিশ ঘটনাস্থলে একটি দল পাঠিয়েছে।