ঢাকা শহরের বারিধারা ডিওএইচএসের একটি সড়ক থেকে একটি গাড়ি চুরির ঘটনা ঘটেছে। চুরির শিকার গাড়ির মালিক, আতিকুল সালাম জানিয়েছেন যে, চুরির স্থান স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরীর বাসা থেকে এক কিলোমিটারের মধ্যে।
১২ মার্চ রাতের ঘটনা উল্লেখ করে আতিকুল সালাম বলেন, এক ব্যক্তি বারিধারা ডিওএইচএসের ১২ নম্বর সড়ক থেকে গাড়িটি চুরি করে স্কুলগেট দিয়ে বেরিয়ে যান। সড়কটি যেখানে চুরি হয়েছে, সেখানে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরীর বাসা ১ নম্বর সড়কে অবস্থিত। এই দুটি সড়কের মধ্যে দূরত্ব মাত্র এক কিলোমিটার। এছাড়া, বারিধারা ডিওএইচএস এলাকায় নিরাপত্তা ব্যবস্থা যথেষ্ট শক্তিশালী, যেখানে অপরিচিত ব্যক্তি এলাকা প্রবেশ করলেই নিরাপত্তা কর্মীরা প্রশ্ন করেন। তবুও, গাড়িটি চুরি হওয়ার পর চোর নির্বিঘ্নে গাড়িটি নিয়ে চলে যায়। চুরি হওয়া গাড়িটির মূল্য প্রায় ১০ লাখ টাকা।
আতিকুল সালাম আরও জানান, চোর নিজের গাড়ি থেকে নেমে এক মিনিটের মধ্যে তার গাড়ির তালা ভেঙে ফেলে। এরপর, অন্য একটি সড়কে গাড়িটি রেখে পায়ে হেঁটে এসে চুরি করা গাড়িটি নিয়ে চলে যায়।
ঘটনার পরদিন, ১৩ মার্চ, আতিকুল সালাম ক্যান্টনমেন্ট থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন, কিন্তু পুলিশ কোন কার্যকর পদক্ষেপ নেয়নি। তার অভিযোগ অনুযায়ী, পুলিশ তার লিখিত অভিযোগও এখনো মামলা হিসেবে নথিভুক্ত করেনি। পুলিশের একজন উপপরিদর্শক (এসআই) ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন, তবে তদন্তে গড়িমসি করছেন বলে অভিযোগ করেন তিনি।
সিসিটিভি ক্যামেরার ফুটেজে দেখা যায়, চোর একটি গাড়ি চালিয়ে বারিধারা ডিওএইচএসের স্কুলগেট দিয়ে প্রবেশ করেন। তার পর, তিনি ৯ নম্বর সড়কে গাড়িটি পার্ক করে ১২ নম্বর সড়কে গিয়ে ‘মাস্টার কি’ দিয়ে গাড়ির তালা খুলে চুরি করেন। তারপর, চোর আবার স্কুলগেট দিয়ে গাড়ি নিয়ে বেরিয়ে যান। ২১ মিনিট পর, চোর পায়ে হেঁটে ফিরে এসে আবার ডিওএইচএসের ভিতরে প্রবেশ করেন এবং ৯ নম্বর সড়ক থেকে তার গাড়ি নিয়ে বেরিয়ে যান। এমন দৃশ্যমান প্রমাণ থাকার পরেও, পুলিশ মামলা নেয়নি এবং তদন্তে আগ্রহ দেখাচ্ছে না। এই পরিস্থিতি পুলিশি তদন্তের ক্ষেত্রে রহস্যজনক বলে মনে হচ্ছে।
পুলিশের ক্যান্টনমেন্ট অঞ্চলের সহকারী কমিশনার (এসি) মনজুরুল হাসান জানান, বিষয়টি পুলিশ তদন্ত করছে এবং সিসিটিভি ক্যামেরার ফুটেজ সংগ্রহ করা হয়েছে। তবে তিনি দাবি করেন, পুলিশের পক্ষ থেকে কোনো সহযোগিতা না করার অভিযোগ সঠিক নয়, এবং ভুক্তভোগী থানায় এসে অভিযোগ করলে মামলা নেওয়া হবে।
চুরির পুরো ঘটনার বর্ণনা সিসিটিভি ফুটেজ থেকে পাওয়া গেছে, যেখানে দেখা যায় চোর ১২ মার্চ মধ্যরাতে ১২ নম্বর সড়কে এসে এক মিনিটের মধ্যে গাড়ির তালা ভেঙে ফেলে এবং নির্বিঘ্নে গাড়ি নিয়ে চলে যায়। ২১ মিনিট পর, চোর আবারও পায়ে হেঁটে এসে ডিওএইচএসের ভিতরে প্রবেশ করেন এবং ৯ নম্বর সড়ক থেকে তার গাড়ি নিয়ে বেরিয়ে যান, যদিও সেই সময় ওই গেটের পাঁচজন নিরাপত্তাকর্মী সেখানে দায়িত্বে ছিলেন, কিন্তু তারা চোরকে কোনো প্রশ্ন করেননি।