অভিনয় ক্যারিয়ারে তিন শতাধিক সিনেমায় অভিনয় করেছেন মান্না। একসময় তার সিনেমা মানেই ছিল হলভর্তি দর্শক এবং বক্স অফিসে সফলতা। তবে মান্নার শূন্যতা আজও স্পষ্ট ঢাকাই সিনেমায়।
এদিকে, প্রয়াত এই নায়কের জীবনী নিয়ে সিনেমা তৈরির পরিকল্পনা করেছেন তার স্ত্রী শেলী মান্না। নির্মাতারা জানিয়েছেন, মান্নার জীবনকাহিনি নিয়ে সিনেমা বানানোর কথা বহুদিন ধরেই ভাবছেন তারা। শেলী মান্না জানিয়েছেন, তার স্বামীর মৃত্যুর রহস্য নিয়ে চলমান মামলার কার্যক্রম শেষ হলেই সিনেমার কাজ শুরু হবে।
শেলী মান্না বলেন, “অনেক দিন ধরেই মান্নার জীবন নিয়ে সিনেমা বানানোর পরিকল্পনা করছি। ইতিমধ্যে একটি রাফ চিত্রনাট্য তৈরি করা হয়েছে, কিন্তু আমরা আদালতের রায়ের জন্য অপেক্ষা করছি। যেহেতু তার মৃত্যুর ঘটনায় মামলা হয়েছে, তাই শেষ সিদ্ধান্ত জানার পরই চিত্রনাট্য সম্পূর্ণ করতে পারব এবং সিনেমা নির্মাণ শুরু হবে।”
প্রতি বছরই নায়কের মৃত্যুবার্ষিকীতে তার পরিবার এবং ভক্তরা দোয়া ও মিলাদের আয়োজন করে। শেলী মান্না বলেন, “মৃত্যুবার্ষিকী একটি বেদনাদায়ক দিন, এখানে উৎসবের কিছু নেই। প্রতিবছরের মতো এবারও আমরা পারিবারিকভাবে দোয়ার আয়োজন করেছি এবং দেশের নানা প্রান্তে তার ভক্তরা মিলাদ ও দোয়া অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।”
উল্লেখযোগ্য যে, ১৯৮৪ সালে এফডিসির ‘নতুন মুখের সন্ধান’ কার্যক্রমের মাধ্যমে বাংলা চলচ্চিত্রে পদার্পণ করেন মান্না। নায়করাজ রাজ্জাক তাকে প্রথম চলচ্চিত্রে সুযোগ দেন। তার প্রথম সিনেমা ‘তওবা’ হলেও প্রথম মুক্তিপ্রাপ্ত সিনেমা ছিল ‘পাগলী’। তবে ১৯৯১ সালে মোস্তফা আনোয়ার পরিচালিত ‘কাসেম মালার প্রেম’ সিনেমার মাধ্যমে তিনি ব্যাপক জনপ্রিয়তা লাভ করেন।
এছাড়া কাজী হায়াৎ পরিচালিত ‘দাঙ্গা’ ও ‘ত্রাস’ সিনেমায় দুর্দান্ত অভিনয় করে মান্না একসময় পরিচালক ও প্রযোজকদের অন্যতম নির্ভরযোগ্য অভিনেতা হয়ে ওঠেন। ‘অন্ধ প্রেম’, ‘প্রেম দিওয়ানা’, ‘ডিস্কো ড্যান্সার’, ‘দেশদ্রোহী’ এবং ১৯৯৯ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত ‘কে আমার বাবা’, ‘আম্মাজান’ ও ‘লাল বাদশা’ সিনেমাগুলো তাকে চলচ্চিত্রে সুপারহিট নায়ক হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করে।