চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে ব্যর্থতার পর ওয়ানডে ক্রিকেট থেকে অবসরের ঘোষণা দিয়েছিলেন মুশফিকুর রহিম। এবার তার পথ অনুসরণ করে ওয়ানডে থেকে বিদায় নিলেন আরেক অভিজ্ঞ ব্যাটার মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। এর আগে টেস্ট এবং আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টি ফরম্যাট থেকেও সরে দাঁড়িয়েছিলেন তিনি।
গতকাল (বুধবার) নিজের ফেসবুক পেজে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে অবসরের ঘোষণা দেন মাহমুদউল্লাহ।
মাহমুদউল্লাহর অবসর ঘোষণার প্রতিক্রিয়ায় বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি) এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, “বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড মাহমুদউল্লাহ রিয়াদকে তার অসাধারণ অবদানের জন্য আন্তরিক কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছে। বুধবার তিনি আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে অবসরের ঘোষণা দিয়ে ১৮ বছরের বর্ণাঢ্য ক্যারিয়ারের সমাপ্তি টেনেছেন।”
বিসিবি জানায়, “মাহমুদউল্লাহ ৪৩০টি আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলেছেন, যেখানে ১১,০৪৭ রান সংগ্রহ করেছেন এবং ১৬৬টি উইকেট নিয়েছেন। তিনি আইসিসি ইভেন্টে বাংলাদেশের হয়ে সর্বাধিক সেঞ্চুরি (৪টি) করার গৌরব অর্জন করেছেন এবং ওয়ানডেতে বাংলাদেশের চতুর্থ সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক এবং টি-টোয়েন্টিতে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক।” এছাড়াও, তিনি ছয়টি টেস্ট ম্যাচ এবং ৪৩টি টি-টোয়েন্টি আন্তর্জাতিক ম্যাচে বাংলাদেশ জাতীয় দলের নেতৃত্ব দিয়েছেন।
বিসিবি সভাপতি ফারুক আহমেদ মাহমুদউল্লাহর অবদানের প্রশংসা করে বলেন, “এটি বাংলাদেশের ক্রিকেটের জন্য একটি হৃদয়বিদারক মুহূর্ত। মাহমুদউল্লাহ প্রায় দুই দশক ধরে জাতীয় দলের শক্তির স্তম্ভ হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। তার ধারাবাহিকতা এবং সাফল্য তাকে অমূল্য সম্পদে পরিণত করেছে।”
তিনি আরও বলেন, “মাহমুদউল্লাহ গুরুত্বপূর্ণ মুহূর্তে বাংলাদেশের সবচেয়ে নির্ভরযোগ্য পারফর্মার হিসেবে পরিচিত। তার শান্ত আচরণ এবং মাঠে নেতৃত্ব বাংলাদেশ ক্রিকেটের ইতিহাসে তাকে সম্মানিত ব্যক্তিত্ব হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করেছে।”
ফারুক আহমেদ শেষ করেন, “বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের পক্ষ থেকে, আমরা মাহমুদউল্লাহর অসাধারণ ক্যারিয়ার উদযাপন করছি এবং তার অমূল্য সেবার জন্য গভীর কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি। আমরা তার ভবিষ্যতের সকল প্রচেষ্টায় সাফল্য কামনা করি এবং আত্মবিশ্বাসী যে তার অভিজ্ঞতা বাংলাদেশের ক্রিকেটকে আরও সমৃদ্ধ করবে।”
নিজের পায়ে দাঁড়ানো অনেক কঠিন। আপনাদের পায়ে দাঁড়াতে গেলে সামনে অনেক বিপদ আছে কিন্তু পিছনে তাকানো যাবে না। যদি পিছনে তাকাও তাহলে তোমার সব স্বপ্ন ভেঙ্গে যাবে। তাই তুমি যদি আর পিছনে না নামো তাহলে তুমি বিজয়।