ভারতে হোলি উৎসবের সময়ে অশান্তি এড়াতে ১০টি মসজিদ ঢেকে ফেলার পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। আগামীকাল শুক্রবার (১৪ মার্চ) ভারতে হোলি উৎসব উদযাপিত হবে, এবং এই উৎসবকে কেন্দ্র করে শান্তি ও শৃঙ্খলা বজায় রাখার জন্য প্রশাসন সতর্ক অবস্থানে রয়েছে।
এ তথ্যটি বুধবার (১২ মার্চ) ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভিতে প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে জানা গেছে।
সংবাদমাধ্যমটি জানাচ্ছে, শুক্রবার হোলি উদযাপনকালে সম্ভল শহরের দশটি মসজিদ ঢেকে ফেলার সিদ্ধান্ত নিয়েছে উত্তর প্রদেশ প্রশাসন। গত ৬০ বছরে এই প্রথমবার হোলি উৎসব এবং রমজানের শুক্রবার বা “জুমার নামাজের দিন” একই দিনে পড়েছে।
উত্তর প্রদেশের সম্ভল জেলার এসপি শ্রীশ চন্দ্র গণমাধ্যমকে ব্রিফিংয়ে জানান, এই সিদ্ধান্ত দুটি সম্প্রদায়ের মধ্যে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বজায় রাখতে এবং তাদের উৎসবকে পূর্ণ আনন্দে উদযাপন করার জন্য নেওয়া হয়েছে।
তিনি বলেন, “‘চৌপাই’ শোভাযাত্রার প্রস্তাবিত রুটে মোট দশটি মসজিদ চিহ্নিত করা হয়েছে। যাতে দুই সম্প্রদায়ের মধ্যে কোনো উত্তেজনা বা সংঘর্ষ না ঘটে, সে জন্য সেগুলোর সবকটি ঢেকে দেওয়া হবে।” তিনি আরও জানান, এই শোভাযাত্রা প্রতি বছর হোলির সময় চলে এবং এটি মসজিদগুলোর সামনে দিয়ে যাবে।
শ্রীশ চন্দ্র বলেন, “হোলির সময় ‘চৌপাই’ শোভাযাত্রার রুট চিহ্নিত করা হয়েছে, এবং রুটের মধ্যে থাকা দশটি মসজিদ ঢেকে দেওয়া হবে।”
এছাড়াও, শুক্রবারের জুমার নামাজ এবং ‘চৌপাই’ শোভাযাত্রার সময় পরিবর্তন করার জন্য একটি চুক্তি করা হয়েছে, যাতে দুইটি অনুষ্ঠান একই সময়ে না হয়। নামাজ হোলির শোভাযাত্রার আগে বা পরে অনুষ্ঠিত হবে। এছাড়া মসজিদ প্রাঙ্গণে বহিরাগতদের প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা থাকবে।
স্থানীয় প্রশাসন এবং উত্তর প্রদেশ পুলিশ কর্মকর্তাদের কঠোর নজরদারি রাখতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, যাতে উৎসবের দিন কোনো অপ্রত্যাশিত ঘটনা ঘটতে না পারে।
এনডিটিভি আরও জানাচ্ছে, সম্ভলে যে দশটি মসজিদ ত্রিপল দিয়ে ঢেকে রাখা হবে, তার মধ্যে শাহী জামে মসজিদ, লাদানিয়া ওয়ালি মসজিদ, থানে ওয়ালি মসজিদ, একরাত মসজিদ, গুরুদুয়ারা রোড মসজিদ, গোল মসজিদ, খাজুর ওয়ালি মসজিদ, আনার ওয়ালি মসজিদ এবং গোল দুকান ওয়ালি মসজিদ অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।
এছাড়া, সম্ভল থানায় এক শান্তি সভাও আয়োজিত হয়েছিল, যেখানে দুই সম্প্রদায়ের ধর্মীয় নেতারা হোলি উদযাপন এবং শুক্রবারের জুমার নামাজের সময় সাম্প্রদায়িক সংঘর্ষ এড়ানোর উপায় নিয়ে আলোচনা করেন।
হিন্দিরাও পারে মুসলিমদের কে সম্মান করতে। যদি আমাদের মসজিদের কোন ক্ষতি হয় তাই জন্য। তাদের দোল উৎসবে আগে মসজিদকে সুরক্ষা দেওয়ার জন্য ঢেকে রেখেছে। তাদের উৎসবের জন্য আমাদের কোন ক্ষতি না হয়। তাহলে আমরা কেন পারব না তাদের পাশে দাঁড়াতে।