রোজায় ইসবগুলের ভুসি কেন খাবেন?

ইসবগুলের শরবত রোজাদারদের জন্য একটি শক্তির উৎস হিসেবে কাজ করে। এটি সারা দিনের রোজার কারণে শরীরের ক্লান্তি দূর করতে সহায়তা করে। স্বাস্থ্যসচেতন রোজাদাররা সারা দিনের দুর্বলতা কাটাতে নিয়মিত ইসবগুলের শরবত পান করেন। এছাড়া এটি কোষ্ঠকাঠিন্য, ডায়রিয়া, আমাশয়সহ বিভিন্ন রোগের উপশমে কার্যকরী।

চলুন, ইসবগুলের উপকারিতা সম্পর্কে আরও জানি:

১. কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে:
কোষ্ঠকাঠিন্য দীর্ঘস্থায়ী হলে পাইলসের সৃষ্টি হতে পারে। চিকিৎসকরা পাইলস রোগীদের ইসবগুলের শরবত নিয়মিত খাওয়ার পরামর্শ দেন। ৫ থেকে ১০ গ্রাম ইসবগুল এক কাপ হালকা ঠান্ডা বা গরম পানিতে আধঘণ্টা ভিজিয়ে সেহরি বা ইফতারে খালি পেটে খেলে উপকার পাওয়া যায়।

২. উচ্চ রক্তচাপ ও ডায়াবেটিস থেকে রক্ষা করে:
ইসবগুলের শরবত উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে। এছাড়া টাইপ ২ ডায়াবেটিস রোগীদের জন্যও এটি একটি কার্যকরী পথ্য। অনেক রোজাদার সেহরি ও ইফতারে এটি খেয়ে রক্তচাপ এবং ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে রাখেন।

৩. ডায়রিয়া উপশমে:
সেহরি ও ইফতারে ৭ থেকে ২০ গ্রাম ইসবগুলের ভুসি খেলে ডায়রিয়া উপশম হয়। ইসবগুলের শরবত ডায়রিয়া থেকে সুরক্ষা দেয়, তাই এটি নিয়মিত খাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়।

৪. হজমে সাহায্য করে:
রমজানে সারা দিন রোজা রাখার পর অনেকেরই হজমের সমস্যা হতে পারে, বিশেষ করে ভাজাপোড়া খাবার খাওয়ার কারণে। ইফতার বা সেহরির সময় ইসবগুলের শরবত খেলে হজমের সমস্যা দূর হয় এবং পাকস্থলী পরিষ্কার থাকে।

৫. আমাশয় থেকে রক্ষা করে:
বিশেষজ্ঞরা বলেন, ইসবগুল আমাশয় রোগের জীবাণু নষ্ট করতে না পারলেও, এটি আমাশয়ের জীবাণু পেট থেকে বের করে দেয়। সেহরি ও ইফতারে নিয়মিত ইসবগুলের শরবত খেলে আমাশয় থেকে সুরক্ষা পাওয়া যায়।

ইসবগুলের এই সকল উপকারিতা রোজা রাখার সময় শরীরকে সুস্থ ও সচল রাখে, যা রোজাদারদের জন্য অত্যন্ত উপকারী।

One Reply to “রোজায় ইসবগুলের ভুসি কেন খাবেন?”

  1. হজমসহ পেটের নানা সমস্যা থেকে বাঁচতে ইসবগুলের ভুসি খেয়ে থাকেন রোজাদাররা। রোজা রাখলে অনেকের প্রস্রাবের জ্বালাপোড়া হয়। ইসবগুলের ভুসি খেলে প্রস্রাবের জ্বালাপোড়া কমবে এবং ইউরিনের রং স্বাভাবিক হয়ে যাবে।

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।