দেশের প্রথম প্রযুক্তিনির্ভর অ্যানিম্যাল ওয়েলফেয়ার প্ল্যাটফর্ম ‘পেটগো’

বাংলাদেশে পোষা প্রাণীর প্রতি মানুষের আগ্রহ দিন দিন বেড়েই চলছে। পোষা প্রাণী রাখতে যেমন আনন্দ আছে, তেমনি এর সঙ্গে যুক্ত হচ্ছে অনেক দায়িত্ব ও চাপ। প্রতিনিয়ত বাড়ছে বেওয়ারিশ প্রাণীদের ওপর নিপীড়নের খবর। এসব ঘটনাকে কেন্দ্র করে প্রতিবাদকারীদের সংখ্যা এখন বেশ বড়, তবে তারা ছড়িয়ে আছে বিভিন্ন সামাজিক মাধ্যম এবং প্ল্যাটফর্মে। দেশের প্রাণীপ্রেমীদের একত্রিত করতে এবং প্রাণীসেবা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে কাজ করছে কিছু তরুণ উদ্যোক্তা। তাদের তৈরি প্ল্যাটফর্মটির নাম ‘পেটগো’।

মানুষের ভালোবাসা শুধু পোষা প্রাণী পর্যন্ত সীমাবদ্ধ নয়, এটি এখন বন্য প্রাণীও অন্তর্ভুক্ত করেছে। মানুষ শখের প্রাণীকে বশ করে ঘরে নিয়ে আসে এবং তাদের যত্ন নেয়। প্রিয় পোষ্যদের সব প্রয়োজন পূরণের জন্য বিশেষ পরিবেশ তৈরি করা হয়। তবে, পোষ্যদের সব চাহিদা পূরণ করা মাঝে মাঝে কঠিন হয়ে ওঠে। টেকনোলজি এই সমস্যার সমাধানে কাজ করবে, এবং ‘পেটগো’ অ্যাপটি পোষ্য পালনকারীদের জীবন আরও সহজ করতে সাহায্য করবে বলে দাবি করছে প্ল্যাটফর্মটির টিম।

পেটগো মনে করে, শুধু পোষ্য প্রাণী নয়, রাস্তার বেওয়ারিশ কুকুর, বিড়ালসহ সব প্রাণীর নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সহায়তা করবে এই অ্যাপ। এটি দুটি স্তরে কাজ করবে—একদিকে পোষ্য প্রাণীদের সুরক্ষা, অন্যদিকে বেওয়ারিশ প্রাণীদের নিয়ে সচেতনতা সৃষ্টি। পৃথিবীজুড়ে প্রাণী সুরক্ষা নিয়ে সচেতনতা বেড়েছে, এবং এর জন্য নানা দিবস যেমন জীববৈচিত্র্য দিবস, পরিবেশ দিবস পালিত হয়। বাংলাদেশও ২০১২ সালে বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ আইন প্রণয়ন করেছে। পেটগো এই সচেতনতা ছড়িয়ে দিতে সহায়ক ভূমিকা পালন করবে।

পেটগো’এর প্রতিষ্ঠাতা ও সিইও সাকিব মেহেদী বলেন, “পেটগো একটি সেবামূলক কমিউনিটি অ্যাপ, যা পোষ্য থেকে বেওয়ারিশ প্রাণী সংক্রান্ত সব স্টেকহোল্ডারদের মধ্যে যোগাযোগ স্থাপন করবে এবং প্রাণী সংক্রান্ত সমস্যাগুলোর সমাধান দিবে।”

তিনি আরও বলেন, “আমরা দীর্ঘদিন ধরে পোষ্য মালিকদের এবং ফেসবুকভিত্তিক স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের সঙ্গে কথা বলেছি এবং তাদের সমস্যাগুলো বুঝে সমাধান দেওয়ার জন্য প্রযুক্তিগত ব্যবস্থা প্রস্তুত করেছি। আমাদের লক্ষ্য শক্তিশালী একটি কমিউনিটি তৈরি করা, যা শুধু পোষ্যদের সুরক্ষা দেবে না, রাস্তার বেওয়ারিশ প্রাণীদেরও সুরক্ষা নিশ্চিত করবে।”

পেটগো খুব শীঘ্রই বাজারে আসবে বলে জানান সাকিব মেহেদী। তিনি বলেন, “আমাদের ডেভেলপমেন্ট পর্যায়ের অধিকাংশ কাজ শেষ হয়ে গেছে এবং কিছু সেবার পরীক্ষণ চলছে। শীঘ্রই পেটগো’র সেবা সবাই পেতে শুরু করবে।”

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।