অস্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস এবং জীবনযাপনের কারণে লিভারের প্রদাহ বাড়তে পারে, যা পরবর্তীতে হেপাটাইটিস বা ফ্যাটি লিভারের সমস্যায় পরিণত হতে পারে। যদি আপনি মুখে ব্রণ, হজমের সমস্যা, বাড়তি কোলেস্টেরল এবং ওজন বৃদ্ধি সহ নানা সমস্যায় ভুগছেন, তবে আপনার লিভারের অবস্থা খারাপ হতে পারে। এইসব সমস্যা দূর করতে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হল আপনার লিভারের যত্ন নেওয়া এবং খাদ্যতালিকায় কিছু সহজ পরিবর্তন আনা।
লিভারের সুস্থতা বজায় রাখতে এবং প্রদাহ দূর করতে আপনার খাদ্যতালিকায় কিছু খাবার রাখতে হবে। এখানে পাঁচটি খাবারের তালিকা দেওয়া হল, যা নিয়মিত খেলে আপনি লিভারের প্রদাহ এবং সম্পর্কিত সমস্যা থেকে মুক্ত থাকতে পারবেন।
- সামুদ্রিক মাছ
সামুদ্রিক মাছ পুষ্টি সমৃদ্ধ এবং এতে স্বাস্থ্যকর ফ্যাট রয়েছে যা লিভারের প্রদাহ কমাতে সাহায্য করে। এছাড়া, এতে থাকা ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড হার্টের স্বাস্থ্যের জন্যও অত্যন্ত উপকারী। - সবুজ শাক
পালং শাক, পুঁই শাক, কুমড়া, লাউ—এসব শাকসবজি লিভারের সুরক্ষা প্রদান করে এবং পেট পরিষ্কার রাখে। এছাড়া, এগুলো শারীরিক প্রদাহ কমাতে সাহায্য করে এবং পুষ্টির জন্যও খুব উপকারী। - অলিভ অয়েল
রান্নায় অলিভ অয়েল ব্যবহার করা অনেক স্বাস্থ্যগত সুবিধা প্রদান করে। এতে থাকা স্বাস্থ্যকর ফ্যাট এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট লিভারের প্রদাহ কমাতে এবং সামগ্রিক স্বাস্থ্য উন্নত করতে সহায়তা করে। - হলুদ
হলুদে থাকা কারকিউমিন যৌগ অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি উপাদান হিসেবে কাজ করে, যা লিভারের সুরক্ষায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। এটি দেহের রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতাও শক্তিশালী করে। - রসুন
রসুনে থাকা অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট উপাদান লিভারের ফ্যাট ও প্রদাহ দূর করতে সহায়ক। কাঁচা রসুন না খেতে চাইলে রান্নায় ব্যবহার করুন—এতে অনেক উপকার পাবেন।
ওজন কমানোর জন্যও কিছু পরিবর্তন আনতে হবে। উচ্চতেল ও মসলাসমৃদ্ধ খাবার পরিহার করে, ফুলকপি এবং অন্যান্য স্বাস্থ্যকর সবজি খাওয়া শুরু করুন। এছাড়া, নারীদের মধ্যে ভ্যাজাইনাল ইনফেকশন বা যোনির সমস্যা বেশ কমন, যা অবশ্যই গুরুত্ব সহকারে সমাধান করতে হবে।
প্রতিদিন সঠিক খাদ্যাভ্যাস এবং লাইফস্টাইল মেনে চললে আপনি ফ্যাটি লিভার, হেপাটাইটিস এবং অন্যান্য শারীরিক সমস্যা থেকে মুক্ত থাকতে পারবেন।
রোজাই কোন খাবার গুলো ফ্যাটি লিভার ও হেপাটাইটিসের ঝুঁকি থাকে না।তা হলো:
১. শাকসবজি – পালং শাক, বাঁধাকপি, ব্রকলি (লিভারের জন্য উপকারী)।
২. ফলমূল – আপেল, কমলা, লেবু, পেঁপে (ডিটক্সিফাই করতে সাহায্য করে)।
৩. প্রোটিন – মুরগির মাংস (চামড়া ছাড়া), ডাল, সামুদ্রিক মাছ।
৪. স্বাস্থ্যকর চর্বি – জলপাই তেল, বাদাম, চিয়া সিড, অ্যাভোকাডো।
৫. পানীয় – পর্যাপ্ত পানি, গ্রিন টি, লেবু পানি, আদা ও হলুদ চা।
৬. ফাইবার সমৃদ্ধ খাবার – ওটস, ব্রাউন রাইস, চিয়া সিড।
৭. ভেজানো বাদাম ও খেজুর – শক্তি জোগায় এবং লিভারের ক্ষতি করে না।
এই খাবারগুলো নিয়ে নিতে যদি খাওয়া হয় তাহলে আপনার কি
ফ্যাটি লিভার এর ঝুঁকি থাকবে না। হেপাটাইটিসের
ওটস, গ্রিন টি, বেরি, অলিভ অয়েল এবং রসুন সহ বিভিন্ন ধরণের খাবার এবং পানীয় লিভারের স্বাস্থ্যকে সমর্থন করতে পারে। অন্যদিকে, চর্বি, লবণ এবং চিনিযুক্ত খাবারগুলি লিভারের প্রক্রিয়া করা আরও কঠিন।
সাধারণ স্বাস্থ্য লিভারের অবস্থার উপর নির্ভর করে। বিপাকীয় অস্বাভাবিকতা এবং লিভারের রোগ একটি অস্বাস্থ্যকর লিভার থেকে হতে পারে।