জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে শহিদদের কবর জিয়ারত করে তাদের স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে সাংগঠনিক কার্যক্রম শুরু করেছে গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদ।
শনিবার রাজধানীর মোহাম্মদপুরের রায়েরবাজারে সংগঠনটির কেন্দ্রীয় নেতারা শহিদদের কবর জিয়ারত করতে উপস্থিত হন।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় সদস্য সচিব জাহিদ আহসান, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আহ্বায়ক আব্দুল কাদের, সদস্য সচিব মহির আলম, মুখ্য সংগঠক হাসিব আল ইসলাম প্রমুখ।
কবর জিয়ারত শেষে জাহিদ আহসান বলেন, “গণ-অভ্যুত্থানের পর বাংলাদেশে ছাত্ররাজনীতিতে একটি শূন্যতা তৈরি হয়েছে। মহান স্বাধীনতা যুদ্ধের পর ৫৪ বছরে বাংলাদেশে সুষ্ঠু রাজনীতি প্রতিষ্ঠিত হয়নি। ছাত্ররাজনীতির নামে ক্যাম্পাসগুলোতে ট্যাগিং কালচার এবং মাদার পার্টির এজেন্ডা বাস্তবায়নের চেষ্টা দেখেছি, যা ক্যাম্পাসে অস্থিতিশীলতা সৃষ্টি করেছে।”
তিনি আরও বলেন, “এমন পরিস্থিতিতে একটি সুস্থ ধারার মেধা, মনন এবং দায়বদ্ধ রাজনীতি প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদ যাত্রা শুরু করেছে। আমরা আজ রায়েরবাজারে শহিদ পরিবারের সদস্যদের এবং যাদের পরিবারের লাশ এখনও পাওয়া যায়নি, তাদের কবর জিয়ারত করেছি।”
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আহ্বায়ক আব্দুল কাদের বলেন, “জুলাই অভ্যুত্থানে শহিদদের আত্মত্যাগ ও তারুণ্যের স্বপ্ন ছিল গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদের ভিত্তি। আমাদের শহিদ ভাই ও সহযোদ্ধারা কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে হাসিনার পতন ঘটিয়েছিলেন। একটি গণ-অভ্যুত্থানের দুটি শর্ত থাকে— বিদ্যমান ব্যবস্থা উপড়ে ফেলা এবং নতুন বন্দোবস্ত তৈরি করা। আমরা প্রথম কাজটি করেছি, এখন আমাদের দায়িত্ব হলো নতুন বন্দোবস্ত তৈরি করা।”