ছিনতাইয়ের আতঙ্কে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে চট্টগ্রাম শহর। দিন-রাত, অলিগলি থেকে শুরু করে প্রধান সড়কেও অস্ত্র দেখিয়ে চলছে ছিনতাই। বাধা দিতে গিয়ে আহত হচ্ছেন সাধারণ মানুষ। এমনকি ছিনতাইকারীদের গ্রেপ্তার করতে গিয়ে পুলিশ সদস্যদেরও আক্রমণের শিকার হতে হচ্ছে। এদিকে, চট্টগ্রাম মহানগর পুলিশ (সিএমপি) দাবি করছে, ছিনতাই প্রতিরোধে তারা সর্বাত্মক চেষ্টা চালাচ্ছে। তবে ছিনতাইকারীদের দৌরাত্ম্য কেন বেড়েছে, তা নিয়ে সিএমপির একাধিক কর্মকর্তার সঙ্গে কথা বললে তারা নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানান, বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর পুলিশ বিভাগ সবচেয়ে বড় আঘাতের মুখে পড়েছে। সরকারের পতনের পর সিএমপির বেশিরভাগ থানায় আক্রমণ হয়েছে, অস্ত্র লুট হয়েছে, যার ফলে পুলিশ এবং জনগণের মধ্যে মানসিক দূরত্ব সৃষ্টি হয়েছে। এই পরিস্থিতির কারণে পুলিশ অনেকটাই নিষ্ক্রিয় হয়ে পড়েছে। আর এর সুযোগ নিয়েই ছিনতাইকারীরা এবং অন্যান্য অপরাধী চক্রগুলো দুর্বৃত্তায়ন শুরু করেছে।
চট্টগ্রামের অলিগলিগুলো এখন ছিনতাইকারীদের অভয়ারণ্যে পরিণত হয়েছে। দিনের পাশাপাশি রাত এবং ভোরবেলা পর্যন্ত ঘটছে ছিনতাই। রিকশা, ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা, সিএনজি চালিত ট্যাক্সি থামিয়ে কিংবা পথচারীদের গতিরোধ করে একের পর এক ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটছে। এমনকি গণপরিবহনেও যাত্রীরা নিরাপদ নয়। গত মঙ্গলবার, ছিনতাইকারীদের গ্রেপ্তার করতে গিয়ে দুই পুলিশ সদস্যও আক্রান্ত হয়েছেন।
পুলিশের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, ছিনতাইকারী এবং ছিনতাই প্রবণ এলাকা চিহ্নিত করার কাজ শুরু হয়েছে। সিএমপির জনসংযোগ বিভাগের অতিরিক্ত উপকমিশনার মাহমুদা বেগম বলেন, “চট্টগ্রাম নগরীতে ছিনতাইকারীদের অপতৎপরতা বন্ধ করতে পুলিশ তৎপর হয়েছে। থানায় থানায় অভিযান চলছে, এবং অভিযানে ছিনতাইকারীদের গ্রেপ্তার করা হচ্ছে।”
তিনি আরও জানান, “মাঠে সক্রিয় ছিনতাইকারীদের তালিকা প্রস্তুত করা হচ্ছে এবং ছিনতাইয়ের স্পটগুলোও চিহ্নিত করা হচ্ছে।”
উল্লেখযোগ্য যে, ২০২৩ সালের শেষদিকে সিএমপির গোয়েন্দা শাখা ৬০৩ জন ছিনতাইকারীর একটি তালিকা তৈরি করেছে। এর মধ্যে ৫০০ জন এখনও সক্রিয় ছিনতাইকারী, ৪৩ জন নিষ্ক্রিয়, এবং বাকি ব্যক্তিদের আগের ঠিকানা ও মামলা সত্ত্বেও তাদের সন্ধান পাওয়া যায়নি।
আমাদের বাংলাদেশে বেশিরভাগ ছিনতাইকারী দেখা যাচ্ছে। যত দ্রুত পারো পুলিশ আর্মি ডিবি সবাই যেন ছিনতাইকারী গ্রেফতার করে পারে। দেশকে সুরক্ষিত করতে পারে
নিজস্ব প্রতিনিধি : ছিনতাই আতঙ্কের নগরীতে পরিণত হয়েছে বন্দরনগরী চট্টগ্রাম। রাতে কিংবা দিনে অলিগলিতে অস্ত্র ঠেকিয়ে সমানতালে চলছে ছিনতাই। বাধা দিতে গিয়ে রক্তাক্ত হচ্ছে ভুক্তভোগীরা। এমনকি ছিনতাইকারীদের গ্রেপ্তার করতে গিয়ে পুলিশ সদস্য আক্রান্ত হওয়ার ঘটনাও রয়েছে।