রক্তের সঞ্চালন প্রক্রিয়ায় রক্ত হার্ট থেকে শরীরের অন্যান্য অংশে পৌঁছানোর জন্য নির্দিষ্ট চাপ প্রয়োগের প্রয়োজন হয়। এই চাপের মাধ্যমে রক্ত হার্ট থেকে রক্তনালির মাধ্যমে সারা শরীরে প্রবাহিত হয়। এই প্রক্রিয়ায়, হার্ট তার মাংসপেশি সংকোচন করে রক্তের চাপ সৃষ্টি করে এবং রক্ত প্রবাহ পরিচালনা করে। তবে রক্ত হার্ট থেকে যত দূরে যায়, রক্তচাপও তত কমে যায়। রক্তনালির ভিতর দিয়ে প্রবাহিত রক্তের চাপের দুটি উপাদান রয়েছে—প্রবাহ চাপ এবং পার্শ্ব চাপ। চিকিৎসকরা একটি স্ল্যাম্পিং ম্যানুয়াল কফে বাতাস ঢুকিয়ে চাপ সৃষ্টি করেন। এর মাধ্যমে রক্তনালির চাপ ধীরে ধীরে কমানো হয় এবং এক নির্দিষ্ট চাপের পর রক্তনালি খুলে গিয়ে আবার রক্ত প্রবাহ শুরু হয়। প্রথম চাপটি সিস্টলিক রক্তচাপ এবং দ্বিতীয় চাপটি ডায়াস্টলিক রক্তচাপ হিসেবে পরিচিত।
হাই প্রেসার বা উচ্চ রক্তচাপের কারণ এখনও পুরোপুরি জানা যায়নি। অধিকাংশ ক্ষেত্রে, উচ্চ রক্তচাপ ধীরে ধীরে বাড়ে এবং এটি সাধারণত কোন উপসর্গ বা লক্ষণ তৈরি করে না। তবে অনেকেই মনে করেন ঘাড় ও মাথা ব্যথা রক্তচাপের লক্ষণ হতে পারে। এটির কারণ হলো, টেনশন বা মানসিক চাপের ফলে শরীরে এক ধরনের হরমোন নিঃসৃত হয়, যা সাময়িকভাবে রক্তচাপ বাড়াতে পারে এবং মাথা বা ঘাড়ে ব্যথা সৃষ্টি করতে পারে। দীর্ঘ সময় ধরে টেনশনে থাকার ফলে রক্তচাপ বাড়তে পারে এবং এটি হাই প্রেসারের অন্যতম কারণ হয়ে দাঁড়ায়।
যেহেতু রক্তচাপ প্রায় সময়ই কোনো লক্ষণ তৈরি করে না, এটি “নীরব ঘাতক” রোগ হিসেবে পরিচিত। দীর্ঘকাল ধরে উচ্চ রক্তচাপ থাকলে এটি কিডনির কর্মক্ষমতা কমিয়ে দেয়, হার্টের পেশীকে মোটা করে ফেলে এবং রক্ত পাম্প করতে গিয়ে এটি অক্সিজেনের অভাবে সমস্যায় পড়ে। ফলে হার্ট অ্যাটাক বা হার্ট ফেইলুরের মতো জটিল পরিস্থিতি সৃষ্টি হতে পারে। এছাড়া, উচ্চ রক্তচাপের কারণে চোখের রক্তনালিতেও পরিবর্তন আসতে পারে, যার ফলে দৃষ্টিশক্তি কমতে থাকে এবং কখনও কখনও রক্তক্ষরণের ফলে অন্ধত্বও হতে পারে। ব্রেইনের রক্তনালিতেও এথেরোসক্লেরোসিস তৈরি হতে পারে, যা মস্তিষ্কের কার্যকারিতা ক্ষতিগ্রস্ত করে এবং ভুলে যাওয়া, শারীরিক দুর্বলতা, ধৈর্যশ্রুতি, রাগান্বিত হওয়া ইত্যাদি লক্ষণ তৈরি করতে পারে। হঠাৎ করে রক্তনালি বন্ধ হয়ে গেলে ব্রেইন স্ট্রোক হতে পারে, যা উচ্চ রক্তচাপের কারণে রক্তনালি ফেটে রক্তক্ষরণের ফলেও ঘটতে পারে।
তবে, ভালো খবর হলো, রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারলে এসব জটিলতা অনেকটাই প্রতিরোধ করা সম্ভব। নিয়মিত রক্তচাপ পরীক্ষা করে তা নিয়ন্ত্রণে রাখলে ব্যক্তি তার স্বাভাবিক জীবন ও কর্মক্ষমতা বজায় রাখতে পারবেন। তবে, অতিরিক্ত রক্তচাপের ওঠানামা (আপডাউন) আরো ক্ষতিকর হতে পারে, বিশেষ করে ব্রেইন স্ট্রোকের ক্ষেত্রে। তাই রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখা এবং সচেতন থাকা অত্যন্ত জরুরি।
রক্ত হার্ট থেকে যত দূরে যায়, রক্তচাপও তত কমে । ঘাড় ও মাথা ব্যথা রক্তচাপের লক্ষণ হতে পারে। টেনশন বা মানসিক চাপের ফলে শরীরে এক ধরনের হরমোন নিঃসৃত হয়, যা রক্তচাপ বাড়াতে পারে। তাই টেনশন বা মানসিক চাপ থেকে দূরে থাকা উচিত। আশা করছি সামনে আরো ভালো বিজ্ঞাপন পাওয়া যাবে এমন বিজ্ঞাপন দেওয়ার জন্য ধন্যবাদ।
ব্লাড প্রেসারে ভুগছে এমন ব্যক্তিদের খাবারে অতিরিক্ত লবণ গ্রহণ এড়িয়ে চলতে হবে। আরো পানি নিয়মিত পান করলে স্বাভাবিকভাবে রক্তচাপ কমাতে সাহায্য করবে। ব্যায়াম প্রাকৃতিক ভাবে রক্তচাপে সাহায্য করতে পারে। মানসিক চাপ এবং রাগ এড়ানো স্বাভাবিকভাবে রক্তচাপ কমাতে সাহায্য করে।