বগুড়ার ধুনট উপজেলায় বিশ্ব ভালোবাসা দিবসে যমুনা নদীতে চার বন্ধু নিখোঁজ
বগুড়ার ধুনট উপজেলায় বিশ্ব ভালোবাসা দিবসে যমুনা নদীর স্পারে ঘুরতে এসে মুঠোফোনে সেলফি তুলতে গিয়ে নদীতে পড়ে যাওয়ার ঘটনায় চার বন্ধু নিখোঁজ হয়েছেন। তাদের মধ্যে তিনজনকে উদ্ধার করা হলেও এক কলেজ ছাত্র এখনো নিখোঁজ রয়েছেন।
আজ শুক্রবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) বিকেল ৪টার দিকে উপজেলার ভান্ডারবাড়ি ইউনিয়নের বানিয়াজান স্পার এলাকায় এ দুর্ঘটনাটি ঘটে। স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ভালোবাসা দিবস উপলক্ষে প্রেমিকার সঙ্গে দেখা করতে এসে ওই চার বন্ধু যমুনা নদীর স্পারে সেলফি তুলছিলেন, এ সময় অসাবধানবশত তারা নদীতে পড়ে যান।
নিখোঁজ কলেজ ছাত্রের নাম জুনায়েদ রহমান (১৮)। তিনি বগুড়ার পল্লী উন্নয়ন একাডেমি ল্যাবরেটরি স্কুল অ্যান্ড কলেজের উচ্চমাধ্যমিক প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী। তিনি শেরপুর উপজেলা সদরের টাউন কলোনি এলাকার বাসিন্দা।
উদ্ধার হওয়া তিন শিক্ষার্থী হলেন:
- নাফিজ ইকবাল (১৮), শেরপুর টাউন কলোনির আবুল কালাম আজাদের ছেলে এবং আরডিএ ল্যাবরেটরি স্কুল অ্যান্ড কলেজের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র।
- শোয়েব আহম্মেদ (১৮), শেরপুর টাউন কলোনির গোলাম সরোয়ারের ছেলে এবং আরডিএ ল্যাবরেটরি স্কুল অ্যান্ড কলেজের প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী।
- মো. আবদুল্লাহ (২০), সিরাজগঞ্জের সলঙ্গা উপজেলার হারচি গ্রামের সোলায়মান আলীর ছেলে এবং মিরপুরের একটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ছাত্র।
ফায়ার সার্ভিস ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, বিশ্ব ভালোবাসা দিবস উপলক্ষে ওই চার বন্ধু স্থানীয় এক মেয়ের সঙ্গে দেখা করতে যমুনা নদীর বানিয়াজান স্পারে আসেন। এরপর তারা সেলফি তোলার সময় একে একে নদীতে পড়ে যান। স্থানীয়রা তিনজনকে উদ্ধার করলেও এক বন্ধু, জুনায়েদ রহমান এখনো নিখোঁজ।
ধুনট থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মনজুর মোরশেদ জানান, নদীতে তীব্র স্রোত থাকার কারণে উদ্ধার অভিযানটি কঠিন ছিল। নিখোঁজ জুনায়েদকে উদ্ধার করতে বিকেলে নদীর ভাটির দিকে তল্লাশি চালানো হয়। তার সন্ধান না পাওয়ায় রাজশাহী থেকে ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দলকে সাহায্য হিসেবে ডাকা হয়েছে।
তাকে যাতে খুব তাড়াতাড়ি পাওয়া যায় সেই আশায় আছি
ছবি তোলা নিয়ে সবার মাঝে এতো বাড়াবাড়ি বিপদ নিয়ে আসে।