“দুদকের মামলায় ইয়াবা ব্যবসায়ীর ৭৬ লাখ টাকার অবৈধ সম্পদ উদ্ধারের দাবি”

দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) গতকাল, সোমবার, মাদক ব্যবসা করে অবৈধভাবে সম্পদ অর্জন করার জন্য নুরুল আবছারের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছে। তিনি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের তালিকাভুক্ত ইয়াবা কারবারি। দুদকের তদন্তে প্রমাণিত হয়েছে যে, নুরুল আবছার অবৈধভাবে ৭৬ লাখ ৪২ হাজার টাকার সম্পদ অর্জন করেছেন। এর আগেও, গত নভেম্বরে আদালত তাঁর সম্পদ জব্দের আদেশ দিয়েছিলেন।

দুদক সূত্রে জানা গেছে, নুরুল আবছার কক্সবাজারের টেকনাফ উপজেলার হ্নীলা ইউনিয়নের পশ্চিম পানখালী গ্রামের অলি আহমদের ছেলে। ইয়াবা ব্যবসায়ী হিসেবে তিনি পুলিশে আত্মসমর্পণ করেছিলেন।

দুদক সমন্বিত কক্সবাজার জেলা কার্যালয়ের উপপরিচালক সুবেল আহমেদ প্রথম আলোকে জানান, নুরুল আবছার একজন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের তালিকাভুক্ত ইয়াবা কারবারি এবং তিনি টেকনাফে পুলিশের কাছে আত্মসমর্পণকারী ইয়াবা ব্যবসায়ীদের একজন। ইয়াবা ব্যবসা করে তিনি বিপুল পরিমাণ সম্পদের মালিক হন। দুদকের সহকারী পরিচালক মো. সাখাওয়াত হোসেন তাঁর তদন্তে আবছারের বিরুদ্ধে মাদক ব্যবসা করে অবৈধ সম্পদ অর্জনের প্রমাণ পেয়েছেন। এর ফলে নুরুল আবছারের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে।

মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়েছে যে, নুরুল আবছার দুদকে জমা দেওয়া সম্পদ বিবরণীতে ৩৮ লাখ ৯২ হাজার ৩৯৬ টাকার সম্পদ গোপন করেছেন এবং ১১ লাখ ৩ হাজার ৬৩৩ টাকার দায়দেনার মিথ্যা তথ্য প্রদান করেছেন। এ ছাড়া, দুদকের সহকারী পরিচালক সাখাওয়াত হোসেন তদন্তকালে অসৎ উপায়ে অর্জিত ৭৬ লাখ ৪২ হাজার ৩৯৬ টাকার আয়বহির্ভূত সম্পদের তথ্য পেয়েছেন। এতে বলা হয়, নুরুল আবছার অসংগতিপূর্ণভাবে অর্জিত এই সম্পদ ভোগদখলে রেখে দুদক আইনে শাস্তিযোগ্য অপরাধ করেছেন।

দুদকের সরকারি কৌঁসুলি (পিপি) ও কক্সবাজার আদালতের সিনিয়র আইনজীবী সিরাজ উল্লাহ জানিয়েছেন, গত ২৮ নভেম্বর কক্সবাজার স্পেশাল জজ আদালতের বিচারক মুন্সি আবদুল মজিদ এক আদেশে নুরুল আবছারের অবৈধভাবে অর্জিত ৪৪ লাখ টাকায় কেনা ৩৬.৬৬ শতকের স্থাবর সম্পদ জব্দ করার নির্দেশ দিয়েছেন। বর্তমানে ওই সম্পদও দুদকের হেফাজতে রয়েছে।

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।