দুর্বল ব্যাংকের গ্রাহকদের প্রতি বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ড. আহসান এইচ মনসুর বলেছেন, “আমরা আপনাদের উদ্ধার করব। তবে এটি তৎক্ষণাত সম্ভব নয়, কিছু সময় দিতে হবে। ধাপে ধাপে আমরা এটি সম্পন্ন করব, রেজুলেশন অ্যাক্ট অনুসারে এই বছরের মধ্যেই অনেক কিছু করা হবে।” তিনি আশ্বস্ত করে বলেন, “আপনাদের টাকা অথবা বন্ড—কিছু না কিছু তো পাবেন।”
আজ মঙ্গলবার, রাজধানীর তোপখানা রোডে সিরড্যাপ মিলনায়তনে মাইক্রোক্রেডিট রেগুলেটরি অথরিটির (এমআরএ) বার্ষিক প্রতিবেদন প্রকাশ অনুষ্ঠানে এ মন্তব্য করেন তিনি।
একজন অনুষ্ঠানে উপস্থিত ব্যক্তি প্রশ্ন করেছিলেন, দুর্বল ব্যাংকের গ্রাহকদের টাকার বিষয়ে কি ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে? উত্তরে ড. আহসান মনসুর বলেন, “আমি ব্যক্তিগতভাবে ১০ বছর ধরে বলেছি, এস আলমের ব্যাংকে টাকা রাখবেন না। তারা বেশি সুদ দিয়েছিল, কিন্তু এখন পরিস্থিতি এমন যে, আপনি ধরা খেয়েছেন।”
২০২৩-২৪ অর্থবছরে ক্ষুদ্রঋণ বিতরণ ও সঞ্চয়
এমআরএ-এর প্রতিবেদন অনুযায়ী, ২০২৩-২৪ অর্থবছরে দেশজুড়ে গ্রাহকদের মধ্যে ৩ লাখ কোটি টাকার ক্ষুদ্রঋণ বিতরণ করা হয়েছে, যা পূর্ববর্তী অর্থবছরের তুলনায় ৫.২৬% বেশি। এর মধ্যে এমআরএ সনদপ্রাপ্ত ক্ষুদ্রঋণ প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে বিতরণ করা ঋণ ছিল ২ লাখ ৬১ হাজার কোটি টাকা। এছাড়া, এসব প্রতিষ্ঠান গ্রাহকদের থেকে ৯৭ হাজার কোটি টাকা আমানত সংগ্রহ করেছে, যার মধ্যে এমআরএ সনদপ্রাপ্ত প্রতিষ্ঠানগুলি সংগ্রহ করেছে ৬৮ হাজার কোটি টাকা।
এমআরএ-এর উপস্থিতি ও ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা
প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, ২০২৪ সালে এমআরএ সনদপ্রাপ্ত ৭২৪টি প্রতিষ্ঠানের ২৬ হাজারের বেশি শাখা দেশে কার্যক্রম চালাচ্ছে।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন অর্থ মন্ত্রণালয়ের আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের সচিব নাজমা মোবারেক, এমআরএ-এর এক্সিকিউটিভ ভাইস চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ হেলাল উদ্দিন, পিকেএসএফ-এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. ফজলুল কাদের, এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ প্রফেসর ড. মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম প্রমুখ।