অনেকের ক্ষেত্রে নিয়মিত শরীরচর্চা ও কড়া ডায়েট মেনে চলার পরেও ওজন কমাতে পারছেন না। শরীরের অতিরিক্ত মেদ ঝরছে না এবং অনেক চেষ্টা সত্ত্বেও কাঙ্ক্ষিত ফল পাচ্ছেন না। এর পেছনে নানা শারীরিক সমস্যা ও অন্যান্য কারণে এই সমস্যা হতে পারে। দেখে নিন, এমন কিছু কারণ যা হঠাৎ করে ওজন বাড়িয়ে দিতে পারে।
অনেক সময় নিয়মিত শরীরচর্চা ও সঠিক ডায়েট মেনে চলার পরেও অবাধে ওজন বেড়ে যেতে পারে। এর মানে হলো, শরীরের কোনো বড় সমস্যা দেখা দিয়েছে। আসুন, এমন কিছু অসুখের লক্ষণ জানি যা ওজন বৃদ্ধি করতে পারে।
- স্ট্রেস বা মানসিক অবসাদ: যদি আপনি মানসিক চাপ বা অবসাদের শিকার হন, তাহলে আপনার ওজন অস্বাভাবিক হারে বাড়তে পারে। এ ক্ষেত্রে চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে বিলম্ব না করাই ভালো, না হলে সমস্যা আরো বাড়তে পারে।
- থাইরয়েড সমস্যা: থাইরয়েডের সমস্যা শরীরে অতিরিক্ত মেদ জমাতে পারে। যদি নিয়ম মেনে সবকিছু করার পরেও ওজন নিয়ন্ত্রণে না আসে, তাহলে থাইরয়েড চেক করিয়ে দেখা উচিত।
- হরমোনাল অস্বাভাবিকতা: শরীরে বিভিন্ন হরমোনের ভারসাম্যহীনতা ওজন বাড়াতে সহায়ক হতে পারে। বিশেষ করে যদি হরমোনের ক্ষরণে কোনো সমস্যা দেখা দেয়, তবে তা অবহেলা না করাই উত্তম।
- ওভারি বা ইউটেরাসে টিউমার: যদি ওভারি বা ইউটেরাসে টিউমার থাকে, তা হলে শরীরে অস্বাভাবিকভাবে ওজন বাড়তে পারে। তাই হঠাৎ ওজন বাড়লে চিকিৎসকের পরামর্শ নেয়া অত্যন্ত জরুরি।
- কর্টিসল হরমোন: কর্টিসল নামক হরমোনের বেড়ে যাওয়া ওজন বৃদ্ধি করতে পারে। এটি শরীরের বিভিন্ন প্রক্রিয়াকে প্রভাবিত করে, যার ফলে মেদ জমে।
- মেনোপজ: মেনোপজের সময় শরীরের হরমোনের ক্ষরণে অস্বাভাবিকতা দেখা দেয়, যার ফলে ওজন বাড়তে পারে। এটি এক প্রকার প্রাকৃতিক পরিবর্তন হলেও, অবহেলা করলে তা সমস্যা সৃষ্টি করতে পারে।
- পিসিওএস (PCOS): পলিসিস্টিক ওভারি সিনড্রোমের সমস্যা থাকলে, এটি হরমোনের ভারসাম্যহীনতা সৃষ্টি করে এবং ফলে হঠাৎ ওজন বাড়তে পারে।
- উদ্বেগ বা টেনশন: অতিরিক্ত উদ্বেগ ও মানসিক চাপও শরীরের ওজন বৃদ্ধির অন্যতম কারণ হতে পারে। এক্ষেত্রে শরীরের কেমিক্যাল কম্পোজিশন পরিবর্তন হতে থাকে, যা অতিরিক্ত মেদ জমাতে সাহায্য করে।
- ওষুধের প্রভাব: কিছু ওষুধের সাইড এফেক্ট হিসেবে শরীরে ওজন বাড়তে পারে। বিশেষত স্টেরয়েড জাতীয় ওষুধের কারণে এ ধরনের সমস্যা দেখা দেয়।
এ সকল সমস্যা যদি অবহেলা করা হয়, তবে তা শরীরের উপর গুরুতর প্রভাব ফেলতে পারে। তাই শরীরের এমন পরিবর্তন দেখে সময়মতো চিকিৎসকের পরামর্শ গ্রহণ করা খুবই গুরুত্বপূর্ণ।