”ফরিদপুরে দুই পক্ষের সংঘর্ষ: মামলায় ৫ জন গ্রেপ্তার”

ফরিদপুরের নগরকান্দা উপজেলায় পূর্বশত্রুতার জেরে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনায় থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সহ ১৬ জন আহত হয়েছেন। শনিবার বিকেলে এই ঘটনার পর নগরকান্দা থানার উপপরিদর্শক (এসআই) ইরানুল ইসলাম মামলা য়ের করেন।

মামলায় ১৭ জনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে এবং অজ্ঞাতনামা ৫০০ থেকে ৬০০ জনকে আসামি করা হয়েছে। এই ঘটনায় ৫ জন আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে, তবে তাদের পরিচয় প্রকাশ করা হয়নি।

ওসি সফর আলী জানান, গতকাল বিকেল থেকে রাত পর্যন্ত পুলিশ এবং সেনাবাহিনী যৌথভাবে দুটি গ্রামে অভিযান চালায়। অভিযানের সময় অনেকেই পালিয়ে যান, তবে এজাহারভুক্ত পাঁচ আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাদের আজ রোববার আদালতে সোপর্দ করা হবে। বর্তমানে এলাকার পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে।

ঘটনার সূত্রপাত গতকাল সকালে নগরকান্দা উপজেলার ফুলসূতী ইউনিয়নের সলিথা ও মীরাকান্দা গ্রামের লোকজনের মধ্যে সংঘর্ষের মাধ্যমে। দুই গ্রামের লোকজন ঢাল, রামদা, ইটসহ দেশীয় অস্ত্র নিয়ে একে অপরের সাথে লড়াই করে। এ সময় পুলিশও হামলার শিকার হ়, যার ফলে ওসি সফর আলীসহ ৬ পুলিশ সদস্য আহত হন। এছাড়া ১০ জন আরও আহত হয়েছেন।

মীরাকান্দা ও সলিথা গ্রামের মাঝে কুমার নদ বয়ে গেছে এবং সেখানে একটি সেতু রয়েছে। সেতুর উত্তর পাশে সলিথা গ্রাম ও দক্ষিণ পাশে মীরাকান্দা গ্রাম অবস্থিত।

স্থানীয় বাসিন্দা ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, মীরাকান্দা এলাকায় আওয়ামী লীগ এবং সলিথা এলাকায় বিএনপির সর্করা বেশি। দীর্ঘদিন ধরে দুই গ্রামের মধ্যে বিবাদ চলছিল, যা সরকারের পতনের পর আরও জোরালো হয়। গত শুক্রবার রাতে সলিথা মাদ্রাসায় ওয়াজ মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়। সেখানে মীরাকান্দা গ্রামের কিছু লোক উপস্থিত হলে সলিথার কয়েকজন তরুণ তাদের মারধর করেন। এর ফলে রাতেই দুই গ্রামের মধ্যে উত্তেজনা সৃষ্টি হয় এবং পরদিন শনিবার সকালে সেতু এলাকায় দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ, ইটপাটকেল ছোড়া ও পাল্টাপাল্টি ধাওয়া হয়।

সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার (নগরকান্দা সার্কেল) আসাদুজ্জামান জানান, পুলিশের অভিযান চলছে এবং ইতোমধ্যে পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। অন্যান্য আসামিদের গ্রেপ্তারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।