ভারত ও বাংলাদেশের সামরিক সম্পর্ক ও সহযোগিতা আগের মতোই অটুট রয়েছে, তবে দুই দেশের সার্বিক সম্পর্ক তখনই স্বাভাবিক হবে, যখন বাংলাদেশে নির্বাচিত সরকার ক্ষমতায় আসবে—এমন মন্তব্য করেছেন ভারতের সেনাপ্রধান জেনারেল উপেন্দ্ দ্বিবেদী।
আজ সোমবার, সেনাবাহিনীর বার্ষিক সংবাদ সম্মেলনে সেনা দিবসের প্রাক্কালে, তিনি বাংলাদেশে সাম্প্রতিক রাজনৈতিক পরিবর্তন পরবর্তী ভারতের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় এবং সামরিক সম্পর্ক নিয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন। জেনারেল দ্বিবেদী আরও বলেন, “বাংলাদেশ ভারতের জন্য এক গুরুত্বপূর্ণ কৌশলগত অংশীদার। শত্রুতার কোনো স্থান নেই, কারণ তা দুই দেশেরই ক্তর কারণ হবে এবং কারোই স্বার্থে কিছু আসবে না।”
তিনি আরও উল্লেখ করেন, “আমরা প্রতিবেশী রাষ্ট্র। আমাদের একসাথে থাকতে হবে এবং একে অপরকে বুঝতে হবে। কোনো ধরনের শত্রুতা কারোর পক্ষে উপকারী নয়।”
ভারতের সেনাপ্রধান আরও বলেন, “দুই দেশের সামরিক সম্পর্ক সম্পূর্ণ ঠিক রয়েছে। তবে, দুই দেশের সার্বিক সম্পর্কের বিষয়ে বললে, তা তখনই স্বাভািক বে যখন নির্বাচিত সরকার ক্ষমতায় আসবে।”
বাংলাদেশের সঙ্গে সামরিক সম্পর্কের বিষয়ে তিনি বলেন, তিনি বাংলাদেশ সেনাপ্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামানের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রক্ষা করছেন। গত আগস্টে বাংলাদেশের রাজনৈতিক পরিবর্তনের সময়ও তারা একে অপরের সঙ্গে যোগাযোগ রেখেছিলেন। সর্বশেষ ২৪ নভেম্বর তাদের মধ্যে একটি ভিডিও কনফারেন্সে আলোচনা হয়েছে, এবং তাদের যোগাযোগ অব্যাহত রয়েছে।
ভারতের সেনাপ্রধান আরও উল্লেখ করেন যে, বর্তমান পরিস্থিতির কারণে দুই দেশের যৌথ সামরিক মহড়া শুধু পিছিয়ে দেওয়া হয়েছে। পরিস্থিতি স্থিতিশীল হলে মহড়া আবার শুরু হবে বলে তিনি জানান।