বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া লন্ডনের উদ্দেশে ঢাকা ত্যাগ করেছেন। মঙ্গলবার রাত ১১টা ৪৬ মিনিটে কাতারের আমিরের পাঠানো বিশেষ এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে করে তিনি যাত্রা শুরু করেন।
বিএনপি চেয়ারপারসনের মিডিয়া উইংয়ের সদস্য শামসুদ্দিন দিদার গণমাধ্যমকে জানান, মঙ্গলবার (৭ জানুয়ারি) রাত ১১টা ৪৬ মিনিটে ঢাকার জিয়া আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে উড্ডয়ন করে এয়ার অ্যাম্বুলেন্সটি।
এর আগে, রাত ১০টা ৫০ মিনিটে খালেদা জিয়া উন্নত চিকিৎসার জন্য লন্ডন যাওয়ার উদ্দেশ্যে বিমানবন্দরে পৌঁছান।
খালেদা জিয়া মঙ্গলবার রাত সোয়া আটটার দিকে গুলশানের বাসা থেকে একটি ক্রিম কালারের গাড়িতে বিমানবন্দরের উদ্দেশে রওনা দেন। গাড়িতে তার সঙ্গে ছিলেন ছোট ছেলে প্রয়াত আরাফাত রহমান কোকোর স্ত্রী সৈয়দা শামিলা রহমান (সিঁথি)। গুলশানের ফিরোজা বাসভবন থেকে তাঁকে বিদায় জানান ছোট ভাই শামীম এস্কান্দার, তার স্ত্রী কানিজ ফাতিমা, প্রয়াত ভাই সাইদ এস্কান্দারের সহধর্মিণী নাসরিন এস্কান্দারসহ অন্যান্য আত্মীয়স্বজন।
এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে ওঠার পর বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী জানান, ম্যাডাম বিমানে ওঠার সময় আমাদের সঙ্গে সালাম বিনিময় হয়েছে।
বিমানবন্দরে উপস্থিত ছিলেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, নজরুল ইসলাম খান, আব্দুল মঈন খান, সালাহউদ্দিন আহমেদ, হাফিজ উদ্দিন আহমেদ, সেলিম রহমান, ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু প্রমুখ।
এদিকে, পথিমধ্যে বিএনপির নেতাকর্মীরা খালেদা জিয়াকে বিদায় জানান এবং তাদের হাতে জাতীয় ও দলীয় পতাকা, খালেদা জিয়ার ছবি সম্বলিত ফেস্টুন দেখা যায়।
প্রায় সাত বছর পর খালেদা জিয়া লন্ডন যাচ্ছেন, এবং বুধবার (৮ জানুয়ারি) বাংলাদেশ সময় সকালে তিনি লন্ডনের হিথ্রো বিমানবন্দরে পৌঁছানোর কথা রয়েছে।
এছাড়া, সোমবার (৬ জানুয়ারি) সাংবাদিকদের সামনে খালেদা জিয়ার ব্যক্তিগত চিকিৎসক ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেন জানান, তিনি যুক্তরাজ্যে পৌঁছানোর পর ‘লন্ডন ক্লিনিক’ এ ভর্তি হবেন।
খালেদা জিয়ার ২০১৭ সালের ১৫ জুলাই ছিল সর্বশেষ লন্ডন সফর, এরপর আর কোনো বিদেশ সফরে যাননি তিনি। সাত বছর পর লন্ডনে পৌঁছানোর পর তার বড় ছেলে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের সঙ্গে সাক্ষাৎ হবে। এছাড়া, লন্ডনে তার ছেলের বউ জুবাইদা রহমান ও নাতনি জায়মা জারনাজ রহমান খালেদা জিয়াকে স্বাগত জানাবেন।
এমন দীর্ঘ প্রতীক্ষিত মা-ছেলের সাক্ষাৎ নিয়ে অনেক আলোচনা হতে পারে, যার মধ্যে দেশের পরিস্থিতি, দল এবং ভবিষ্যত রাজনীতির বিষয় উঠে আসতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।