অস্থায়ী বাসিন্দাদের সংখ্যা কমানোর উদ্দেশ্যে বিদেশি শিক্ষার্থীদের স্টাডি পারমিট এবং কর্মীদের ওয়ার্ক পারমিট নিয়ে আরও কঠোর হতে যাচ্ছে কানাডা সরকার।
কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো একটি পোস্টে জানান, “আমরা চলতি বছরে আগের তুলনায় ৩৫ শতাংশ কম বিদেশি শিক্ষার্থীকে স্টাডি পারমিট দিচ্ছি এবং আগামী বছরে এটি আরও ১০ শতাংশ কমানোর পরিকল্পনা রয়েছে।”
তিনি আরও বলেন, “অভিবাসন আমাদের অর্থনীতির জন্য গুরুত্বপূর্ণ, তবে যখন কিছু অসাধু ব্যক্তি সিস্টেমের অপব্যবহার করে এবং শিক্ষার্থীদের সুবিধা নেয়ার চেষ্টা করে, তখন আমরা কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করি।”
২০২৫ সালে কানাডায় সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে। নির্বাচনে পিছিয়ে পড়ার আশঙ্কা রয়েছে কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডোর নেতৃত্বাধীন লিবারেল সরকারের। এই সপ্তাহে একটি গুরুত্বপূর্ণ উপ-নির্বাচনে পরাজয়ের পর, বিদেশি শিক্ষার্থী ও কর্মী সংখ্যা কমানোর পরিকল্পনা ঘোষণা করেছে কানাডা সরকার। নির্বাচনের আগে অভিবাসন নীতি একটি গুরুত্বপূর্ণ রাজনৈতিক ইস্যুতে পরিণত হয়েছে।
কানাডা সরকার জানিয়েছে, ২০২৩ সালে ৫ লাখ ৯ হাজার ৩৯০ জন শিক্ষার্থীকে স্টাডি পারমিট দেওয়া হলেও, ভবিষ্যতে এটি কমিয়ে আনা হবে। ২০২৪ সালে ১ লাখ ৭৫ হাজার ৯২০ জন শিক্ষার্থী কানাডায় যাওয়ার অনুমোদন পেয়েছেন এবং ২০২৫ সালের মধ্যে ৪ লাখ ৩৭ হাজার শিক্ষার্থীকে স্টাডি পারমিট দেওয়া হবে।
চলতি বছরের এপ্রিল পর্যন্ত, কানাডার মোট জনসংখ্যার ৬.৮ শতাংশ ছিল অস্থায়ী বাসিন্দা। সরকার এই সংখ্যা ৫ শতাংশে নামাতে চায়। কানাডা সরকার অভিবাসনকে বিভিন্ন সামাজিক সমস্যার কারণ হিসেবে দেখছে, যেমন সাশ্রয়ী মূল্যের আবাসনের অভাব এবং জীবনযাত্রার ক্রমবর্ধমান ব্যয়, যা অভিবাসীদের জন্য চ্যালেঞ্জ সৃষ্টি করেছে।