চামড়ার মানিব্যাগ আসল কি না কীভাবে বুঝবেন?

চামড়ার মানিব্যাগ কিনতে গিয়ে অনেকেই সন্দেহে পড়েন—আপনার মানিব্যাগটি আসল চামড়ার নাকি নকল? ছেলেদের জন্য এটি এক গুরুত্বপূর্ণ ও প্রয়োজনীয় আইটেম। পকেটের অবস্থা যেমনই হোক না কেন, প্রায় সব ছেলের পকেটে একটি মানিব্যাগ থাকে, যা তার ব্যক্তিত্বও প্রকাশ করে। তবে বাজারে নানা ধরনের মানিব্যাগ পাওয়া যায়, এবং অনেক সময় উচ্চমূল্যে নকল পণ্য কেনার শঙ্কা থাকে। চলুন, জানি কীভাবে বুঝবেন মানিব্যাগটি আসল চামড়ার, এবং কেন এটি আপনার ফ্যাশনের জন্য গুরুত্বপূর্ণ।


যে কোন ধরণের ওয়েবসাইট তৈরি করতে আমাদের সাথে যোগাযোগ করুন।
৫০% পর্যন্ত ডিসকাউন্টে তৈরি করুন আপনার প্রতিষ্ঠানের জন্য
কর্পােরেট ওয়েবসাইট
ই-কমার্স ওয়েবসাইট অথবা নিউজপোর্টাল  ওয়েবসাইট।

চামড়ার মানিব্যাগ এবং ছেলেদের ফ্যাশন
টাকা পয়সা অগোছালোভাবে রাখা কখনোই ভালো নয়। এটি সঠিকভাবে গুছিয়ে রাখলে আপনার হিসাব রাখতেও সুবিধা হয় এবং দৈনন্দিন জীবনে ঝক্কিও কম হয়। ছেলেরা ওয়ালেটের ব্যাপারে বেশ শৌখিন, এবং প্রায় সবাই ভালো মানের চামড়ার মানিব্যাগ ব্যবহার করতে চায়। মানিব্যাগ শুধু টাকা রাখার জন্য নয়; অনেকেই এতে প্রয়োজনীয় কাগজপত্রও রাখে। একটি আকর্ষণীয় মানিব্যাগ আপনার ব্যক্তিত্বও ফুটিয়ে তোলে। তবে পকেটের মাপের সাথে মানিব্যাগের সাইজ মিলিয়ে নেওয়া জরুরি, কারণ পকেট থেকে বাহিরে মানিব্যাগ বেরিয়ে গেলে তা দেখতে দৃষ্টিকটু হতে পারে। এছাড়া ফরমাল লুকের জন্য লং ওয়ালেট এড়িয়ে চলাই ভালো। নকল পণ্যের ভিড়ে আসল চামড়ার মানিব্যাগ খুঁজে পেতে কিছুটা কষ্ট হয়, তবে কয়েকটি পদ্ধতি অনুসরণ করে আপনি সহজেই এটি চেনতে পারবেন।

কীভাবে বুঝবেন মানিব্যাগটি রেক্সিনের নাকি প্রকৃত চামড়ার?
বাজারে অনেক মানিব্যাগ রয়েছে যা আসল চামড়ার নামে রেক্সিন দিয়ে তৈরি। এজন্য কিছু বিশেষ পরীক্ষা করা জরুরি, যার মাধ্যমে আপনি আসল চামড়া চেনার সহজ পদ্ধতি জানতে পারবেন:

  1. ভাঁজ পরীক্ষা: মানিব্যাগটি নিয়ে একটি অংশ ভাঁজ করুন। এরপর দেখুন, এটি আবার আগের অবস্থায় দ্রুত ফিরে আসে কি না। যদি দ্রুত ফিরে আসে, তবে এটি সিনথেটিক বা নকল। আসল চামড়া পূর্বের অবস্থায় ফিরে আসতে কিছুটা সময় নেয়।
  2. আঙুলের পরীক্ষা: মানিব্যাগের উপর আঙুল দিয়ে চাপ দিন। যদি মাকড়সার জালের মতো নকশা তৈরি হয়, তবে এটি আসল চামড়া। নকল চামড়াতে এমন কোনো নকশা তৈরি হয় না।
  3. পানি পরীক্ষা: দুই ফোঁটা পানি মানিব্যাগের উপরে ফেলুন। আসল চামড়ায় পানি ফেলার অংশটি কিছুটা ফুলে উঠবে, তবে রেক্সিনে এমন কিছু হয় না।
  4. আগুন পরীক্ষা: একটি লাইটার জ্বালিয়ে হালকাভাবে চামড়ার মানিব্যাগের নিচে ধরুন। যদি চামড়া কুঁচকে বা পুড়ে যায়, তবে এটি রেক্সিনের তৈরি। আসল চামড়া আগুনে এভাবে প্রতিক্রিয়া দেখায় না।

চামড়ার মানিব্যাগের সহজাত বৈশিষ্ট্য
আসল চামড়ার মানিব্যাগের কিছু সহজাত বৈশিষ্ট্য থাকে, যা দেখে আপনি সহজেই চেনতে পারবেন:

  • গন্ধ: আসল চামড়ার গন্ধ আলাদা ধরনের হয়, যা কোনো ধরনের রাসায়নিক পদার্থের গন্ধ থেকে ভিন্ন। নকল চামড়াতে ভিনাইল বা প্লাস্টিকের গন্ধ থাকে।
  • ওজন: আসল চামড়ার মানিব্যাগ তুলনামূলকভাবে ভারী হয়, যখন নকল চামড়া হালকা।
  • চামড়ার পৃষ্ঠভাগ: কৃত্রিম চামড়া খুব চকচকে হয় এবং তাতে কোনো ছিদ্র বা সূক্ষ্ম রেখা দেখা যায় না। আসল চামড়ায় ক্ষুদ্র ছিদ্র এবং সূক্ষ্ম রেখা থাকে, যা স্বাভাবিক।
  • চামড়ার কাটার পাশ: নকল চামড়ার সামনে অংশ চকচকে এবং পিছনে ফেব্রিক ফিনিশ থাকে। অথেনটিক লেদারের পিছনের অংশ অমসৃণ হয়।
  • ফিনিশিং: প্রকৃত চামড়ার মানিব্যাগের ফিনিশিং কখনোই মসৃণ বা স্মুথ হয় না। রেক্সিনের তৈরি মানিব্যাগের ফিনিশিং খুব মসৃণ হয়।
  • উজ্জ্বলতা: রেক্সিনের তৈরি মানিব্যাগের প্রতিটি স্থান সমানভাবে উজ্জ্বল হয়, কিন্তু আসল চামড়া এতটা মসৃণ বা উজ্জ্বল হয় না।

এই বৈশিষ্ট্যগুলো জানার মাধ্যমে আপনি সহজেই আসল এবং নকল চামড়ার মানিব্যাগের মধ্যে পার্থক্য করতে পারবেন।

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।