ভারত সীমান্তে বিএসএফের ধরপাকড়, ড্রোনের মাধ্যমে নজরদারি চলছে

বাংলাদেশে চলমান অস্থিরতার কারণে ভারতে অনুপ্রবেশের চেষ্টা সম্প্রতি বৃদ্ধি পেয়েছে। বিএসএফের দাবি অনুযায়ী, গত চার মাসে উত্তরবঙ্গে অনুপ্রবেশের সংখ্যা প্রায় দ্বিগুণ বেড়েছে।


যে কোন ধরণের ওয়েবসাইট তৈরি করতে আমাদের সাথে যোগাযোগ করুন।
৫০% পর্যন্ত ডিসকাউন্টে তৈরি করুন আপনার প্রতিষ্ঠানের জন্য
কর্পােরেট ওয়েবসাইট
ই-কমার্স ওয়েবসাইট অথবা নিউজপোর্টাল  ওয়েবসাইট।

এই অনুপ্রবেশ প্রতিরোধ করতে বিএসএফ আরও শক্তিশালী নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে। যেসব স্থানে ফেন্সিং ছিল না, সেখানে এখন ফেন্সিং স্থাপন করা হচ্ছে।

শিলিগুড়ি ফ্রন্টিয়ারের বিএসএফ আধিকারিকেরা সোমবার (২ ডিসেম্বর) এ তথ্য জানান। বিএসএফের উত্তরবঙ্গ ফ্রন্টিয়ারের আইজি সূর্যকান্ত শর্মা বলেন, “তিন বিঘা করিডর নিয়ে যে জটিলতা ছিল, তা এখন সমাধান হয়ে গেছে।”

বাংলাদেশে চলমান পরিস্থিতি এবং সীমান্তে অনুপ্রবেশের বিষয়ে তারা জানান, উত্তরবঙ্গে প্রায় ১৯৩৭ কিলোমিটার ইন্দো-বাংলাদেশ সীমান্তে বিএসএফ নিরাপত্তার দায়িত্বে রয়েছে। বাংলাদেশে অস্থিরতার কারণে সীমান্তে নজরদারি আরও বাড়ানো হয়েছে। অতিরিক্ত জওয়ান মোতায়েনের পাশাপাশি থার্মাল ক্যামেরা, নাইট ভিশন ক্যামেরা, সিসি ক্যামেরা এবং ড্রোনের মাধ্যমে সীমান্তের ওপর নজরদারি করা হচ্ছে। সীমান্তের পারাপারের জায়গাগুলোতে বায়োমেট্রিক মেশিনও বসানো হয়েছে।

বিএসএফের আইজি বলেন, “সীমান্তে নিরাপত্তা ব্যবস্থা এখন বেশ কঠোর করা হয়েছে। তবে আগস্ট মাসের পর থেকে অপরপারের সংখ্যালঘুরা আমাদের দিকে আসার প্রবণতা বাড়িয়েছে। এই সমস্যা সমাধানে বিজিবি (বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ)-এর সঙ্গে আলোচনা চলছে। এছাড়া, ফেন্সিংয়ের জন্য জমি অধিগ্রহণে রাজ্য সরকারের ভাল সহযোগিতা পাওয়া যাচ্ছে। আমাদের অধীনস্থ সীমান্তের ১০ শতাংশ জায়গায় এখনও ফেন্সিং স্থাপন হয়নি, তবে খুব শীঘ্রই সেখানে ফেন্সিং লাগানো হবে।”

২০২৩ সালে বিএসএফের উত্তরবঙ্গ ফ্রন্টিয়ার সীমান্ত দিয়ে অবৈধভাবে প্রবেশের অভিযোগে ১২৭ জন বাংলাদেশিকে গ্রেফতার করেছে। এছাড়া, ১৭৩ জন ভারতীয়ও গ্রেফতার হন। চলতি বছরেও ১৯৪ জন বাংলাদেশি এবং ১৯৭ জন ভারতীয়কে গ্রেফতার করা হয়েছে। এ ছাড়াও তিন রোহিঙ্গা এবং তিন অন্য অনুপ্রবেশকারী মিলিয়ে মোট ৩৯৭ জনকে গ্রেফতার করেছে বিএসএফ।

সূত্র: আনন্দবাজার

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।