ফাঙ্গাস বা ছত্রাকের আক্রমণ রোধের জন্য যা করতে হবে

ফাঙ্গাস বা ছত্রাক সংক্রমণ অত্যন্ত ছোঁয়াচে এবং এটি খুব সহজেই ছড়াতে পারে। ত্বক, ব্যবহৃত জিনিসপত্র, এমনকি পরিবেশ থেকেও ছত্রাক ছড়ানোর ঝুঁকি থাকে। ছত্রাকের বংশবৃদ্ধি ও সংক্রমণ ছড়ানোর প্রক্রিয়া এমনভাবে কাজ করে, যা এটি দ্রুত এবং সহজে ছড়িয়ে পড়ে।


যে কোন ধরণের ওয়েবসাইট তৈরি করতে আমাদের সাথে যোগাযোগ করুন।
৫০% পর্যন্ত ডিসকাউন্টে তৈরি করুন আপনার প্রতিষ্ঠানের জন্য
কর্পােরেট ওয়েবসাইট
ই-কমার্স ওয়েবসাইট অথবা নিউজপোর্টাল  ওয়েবসাইট।

ছত্রাক বা ফাঙ্গাস কীভাবে ছড়ায়?

স্পোর বা ছত্রাকের কণা: ফাঙ্গাস স্পোর তৈরি করে, যা খুব হালকা এবং দীর্ঘ সময় ধরে বেঁচে থাকতে পারে। সংক্রমিত ত্বক বা চুল থেকে এই স্পোরগুলো পড়ে অন্যের ত্বকে লেগে যেতে পারে।

উষ্ণ, ঘর্মাক্ত ও স্যাঁতসেঁতে পরিবেশ: ছত্রাক উষ্ণ ও স্যাঁতসেঁতে পরিবেশে দ্রুত বংশবৃদ্ধি করে, যেমন ঘর্মাক্ত ত্বক, জনসমাগমপূর্ণ স্থান (পাবলিক শাওয়ার বা সুইমিং পুল) অথবা ভেজা পোশাক।

আক্রান্ত ত্বকের সংস্পর্শ: যদি ফাঙ্গাল ইনফেকশনযুক্ত ব্যক্তির ত্বকের সঙ্গে সরাসরি শারীরিক সংস্পর্শে আসা হয়, তবে ছত্রাক সহজেই ছড়িয়ে পড়ে।

নোংরা বস্তু: ছত্রাক নোংরা তোয়ালে, জামাকাপড়, বিছানার চাদর, চিরুনি বা জুতার মাধ্যমে ছড়াতে পারে।

ব্যক্তিগত অপরিচ্ছন্নতা: যারা নিজের পরিচ্ছন্নতা ঠিকমতো রক্ষা করেন না বা নিজেদের জিনিস অন্যদের সঙ্গে শেয়ার করেন, তাদের জন্য ছত্রাক সংক্রমণের ঝুঁকি বেড়ে যায়।

ফাঙ্গাস বা ছত্রাকের আক্রমণ ঠেকাতে যা করতে হবে

  1. ব্যক্তিগত জিনিসপত্র ভাগাভাগি করবেন না – অন্যদের সঙ্গে তোয়ালে, চিরুনি, বা জামাকাপড় শেয়ার করবেন না।
  2. ত্বক শুকনো রাখতে হবে – ভেজা বা ঘর্মাক্ত পরিবেশে ছত্রাকের বৃদ্ধি বাড়ে, তাই ত্বক শুকনো রাখা খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
  3. পাবলিক স্থানগুলোতে সাবধানতা অবলম্বন করুন – সুইমিং পুল, জিম বা পাবলিক শাওয়ারের মতো জায়গায় নিজস্ব স্যান্ডেল ব্যবহার করুন।
  4. শরীরের আক্রান্ত স্থানে হাত লাগাবেন না – যদি শরীরের কোনো স্থানে ছত্রাক থাকে, তবে তা অন্য অংশে ছড়িয়ে পড়তে পারে।
  5. গুরুতর সংক্রমণ হলে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন – সংক্রমণের তীব্রতা অনুযায়ী ঘরোয়া পদ্ধতি কার্যকর হতে পারে, তবে গুরুতর ক্ষেত্রে চিকিৎসকের সাহায্য নেওয়া জরুরি।

ঘরোয়া পদ্ধতিতে ফাঙ্গাস নিয়ন্ত্রণের উপায়

  1. নারকেল তেল ও টি ট্রি অয়েল: এক চামচ নারকেল তেলে কয়েক ফোঁটা টি ট্রি অয়েল মিশিয়ে আক্রান্ত স্থানে লাগান। এটি দিনে দুবার ব্যবহার করুন।
  2. অ্যালোভেরা জেল: অ্যালোভেরা জেল আক্রান্ত স্থানে সরাসরি লাগান। এটি সংক্রমণ কমাতে এবং ত্বককে ঠান্ডা রাখতে সাহায্য করে।

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।