রাজধানীজুড়ে আজ মঙ্গলবার সকাল থেকেই তীব্র যানজট শুরু হয়েছে, যা এখনো অব্যাহত রয়েছে। বেলা পৌনে ১২টা পর্যন্ত নগরীর বিভিন্ন সড়ক স্থবির হয়ে রয়েছে।
আজ সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে ইসলামি মহাসম্মেলনে যোগ দিতে হাজার হাজার মানুষ এসেছেন। এর ফলে সোহরাওয়ার্দী উদ্যান এবং এর আশপাশের এলাকা আলেম-ওলামাদের ভিড়ে পূর্ণ হয়ে গেছে। সকাল থেকেই সম্মেলনে অংশগ্রহণকারীদের বহনকারী বিভিন্ন যানবাহন সড়কগুলোতে চলাচল করতে দেখা গেছে। অনেক অংশগ্রহণকারী পায়ে হেঁটে এবং মেট্রোরেলে করে গন্তব্যে পৌঁছানোর চেষ্টা করছেন, এতে মেট্রোরেলে চাপ বাড়ছে।
জিনিয়া হাসান নামের একজন সকাল পৌনে সাতটার দিকে সার্ক ফোয়ারা মোড়ে ১০ মিনিট আটকে ছিলেন। তিনি বললেন, “অন্য দিন এত সকালে কখনো এমন যানজট দেখিনি। আজ সকালে রাস্তায় অনেক গাড়ি ছিল।”
নজরুল ইসলাম, যিনি শেওড়াপাড়া থেকে মোটরসাইকেলে করে কারওয়ান বাজার যাচ্ছিলেন, তিনি জানান, বিজয় সরণি পর্যন্ত রাস্তা পরিষ্কার থাকলেও, এরপর থেকে তীব্র যানজটে পড়েন। “ফার্মগেট পর্যন্ত রাস্তা পুরোপুরি স্থবির হয়ে গিয়েছিল,” বলছিলেন তিনি।
নাজনীন ইসলাম, যারা বসুন্ধরা আবাসিক এলাকা থেকে বেরিয়ে মেট্রোরেল ব্যবহার করে গন্তব্যে যেতে চেয়েছিলেন, তারা জানাচ্ছেন যে, ফার্মগেট পর্যন্ত ভালোভাবে পৌঁছানোর পর, কারওয়ান বাজারের দিকে আর যেতে পারেননি। অবশেষে মেট্রোরেল ব্যবহার করে গন্তব্যে পৌঁছান।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আশপাশে যানজট পরিস্থিতি আরও চরম আকার ধারণ করেছে। সোহরাওয়ার্দী উদ্যান এবং টিএসসি এলাকায় উপস্থিত মানুষদের কারণে রাস্তা অবরুদ্ধ হয়ে পড়েছে। সকালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা, যারা ক্লাসে যাওয়ার জন্য রওনা দিয়েছিলেন, তারা দীর্ঘ সময় যানজটে আটকা পড়েন। কিছু বিভাগের ক্লাস বাতিল করা হয়েছে।
এ বিষয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর সাইফুদ্দীন আহমদ জানিয়েছেন, “আমরা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করছি, তবে এত বিপুলসংখ্যক মানুষকে এক জায়গায় নিয়ন্ত্রণ করা কঠিন হয়ে পড়ছে। গতকাল রাত থেকে ক্যাম্পাসের আশপাশে গাড়ি রাখা নিষিদ্ধ করা হয়েছিল, কিন্তু তারপরও পরিস্থিতি স্বাভাবিক করা সম্ভব হয়নি।”
আজকের এই যানজট পরিস্থিতি সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে ইসলামী সম্মেলন এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আশপাশে জমায়েত হওয়া মানুষের সংখ্যা বৃদ্ধির কারণে আরও জটিল হয়ে উঠেছে।