আজ মঙ্গলবার, যুক্তরাষ্ট্রে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ভোটগ্রহণ শুরু হয়েছে। এরই মধ্যে প্রায় ৮ কোটি ২০ লাখ মানুষ আগাম ভোট দিয়েছেন। এসব ভোটের মধ্যে উল্লেখযোগ্য সংখ্যক ভোট রয়েছে জর্জিয়া, নর্থ ক্যারোলাইনা এবং অন্যান্য দোদুল্যমান (স্বিং) রাজ্যের, যেখানে ভোটারদের পছন্দের ভিত্তিতে আগামী প্রেসিডেন্টের ভাগ্য নির্ধারিত হতে পারে।
এ নির্বাচনে প্রধান দুই প্রতিদ্বন্দ্বী হলেন রিপাবলিকান প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্প ও ডেমোক্রেটিক প্রার্থী কমলা হ্যারিস। যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাসে এ লড়াইটি অত্যন্ত প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ হতে যাচ্ছে, যেখানে দুই প্রার্থীই নিজেদের পক্ষে ব্যাপক সমর্থন আদায় করতে কাজ করছেন।
জর্জিয়া রাজ্যে ইতোমধ্যে ৪০ লাখেরও বেশি ভোট পড়েছে। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একজন শীর্ষ কর্মকর্তা জানিয়েছেন, ভোটের দিন বেশিরভাগ ভোটকেন্দ্রে তেমন ভিড় দেখা না যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
বার্তা সংস্থা এপির এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, দেশব্যাপী আগাম ভোট পড়েছে মোট ৮ কোটি ২০ লাখেরও বেশি, যা গত প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের মোট নিবন্ধিত ভোটের অর্ধেকের কিছু বেশি। এদিকে, রিপাবলিকান ভোটাররা আগাম ভোট দেওয়ার ক্ষেত্রে গত নির্বাচনের তুলনায় অনেক বেশি আগ্রহ দেখিয়েছেন, যা একটি গুরুত্বপূর্ণ সঙ্কেত। ডেমোক্র্যাটরা আগাম ভোটে কিছুটা এগিয়ে থাকলেও, রিপাবলিকানরা এবার শক্তিশালী প্রচারণা চালিয়ে তাঁদের ভোটারদের মাঠে এনেছেন।
এদিকে, কিছু কিছু ভোটকেন্দ্রে ভোটারদের দীর্ঘ লাইন দেখা যাচ্ছে, তবে বেশিরভাগ ক্ষেত্রে আগাম ভোট ও ডাকযোগে ভোট দেওয়ার ক্ষেত্রে কোনো বড় ধরনের সমস্যা নেই।
গত মাসে, নর্থ ক্যারোলাইনার পশ্চিমাঞ্চলসহ রাজ্যের বেশ কিছু অংশে হারিকেন হেলেন আঘাত হানে, যার ফলে বিদ্যুৎ ও পানির সংকট সৃষ্টি হয় এবং রাস্তাঘাটও ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এই পরিস্থিতিতে রাজ্যের রিপাবলিকান নিয়ন্ত্রিত আইনসভা আগাম ভোট গ্রহণে কিছু পরিবর্তন আনে, যার ফলে রাজ্য এবং স্থানীয় নির্বাচন কর্মকর্তারা উপকৃত হন। আগাম ভোট গ্রহণ শেষ হওয়া পর্যন্ত ৪৪ লাখের বেশি ভোট পড়েছে, যা মোট ভোটের প্রায় ৫৭ শতাংশ। হারিকেনের আঘাতে ক্ষতিগ্রস্ত ২৫টি কাউন্টিতে প্রায় ৫৯ শতাংশ ভোট পড়েছে।
নর্থ ক্যারোলিনা নির্বাচন বোর্ডের নির্বাহী পরিচালক কারেন ব্রিনসন বেল বলেন, “হারিকেনের ক্ষতিগ্রস্ত অঞ্চলের ভোটার এবং নির্বাচন কর্মীরা আমাদের জন্য এক বিরাট অনুপ্রেরণা।”
অপরদিকে, জর্জিয়ায় রিপাবলিকানরা নির্বাচন শেষে ডাকযোগে আসা ব্যালটের গ্রহণে নিষেধাজ্ঞা আরোপের দাবি তুলেছিল, তবে গত সপ্তাহের শেষের দিকে একজন বিচারপতি তাঁদের আবেদন প্রত্যাখ্যান করেছেন।