“প্রতিদিন ডিম খাওয়া: ভালো না মন্দ?”


একটি বড় আকারের ডিমে প্রায় ৭৮ ক্যালরি, ৬ গ্রাম প্রোটিন এবং ৫ গ্রাম চর্বি থাকে। এতে ভিটামিন এ, ফোলেট, ভিটামিন বি৫ (প্যানটোথেনিক অ্যাসিড), বি১২, এবং বি২ এর মতো গুরুত্বপূর্ণ ভিটামিন রয়েছে, যথাক্রমে ৮%, ৬%, ১৫%, ২৩% এবং ২০%। এছাড়া ডিমে ফসফরাস, সেলেনিয়াম, ভিটামিন ডি, ই, বি৬, ক্যালসিয়াম ও জিংকও পাওয়া যায়। বর্তমানে ডিমে ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিডও যোগ করা হয়।


কেন প্রতিদিন খাবেন

ডিমের কুসুমে লুটেইন এবং ক্যারোটিনয়েড থাকায় এটি বয়স্কদের দৃষ্টিশক্তি রক্ষায় সহায়ক। ভিটামিন এ চোখের স্বাস্থ্যেও উপকারি। ডিমের ফোলেট, বি৬ ও বি১২ রক্তশূন্যতা প্রতিরোধ করে, এবং ভিটামিন ই একটি শক্তিশালী অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট হিসেবে কাজ করে, যা বয়স বাড়ার সাথে সাথে শরীরের তারুণ্য ধরে রাখতে এবং বিভিন্ন ক্যানসার প্রতিরোধে সহায়তা করে। ভিটামিন ডি হাড় ও পেশি শক্তিশালী করে।

অনেকের মনে প্রশ্ন থাকে, ডিমে কোলেস্টেরল রয়েছে, তাই কি ডিম খাওয়া নিরাপদ? একটি ডিমের কুসুমে প্রায় ১৮৬ মিলিগ্রাম কোলেস্টেরল থাকে, যার অধিকাংশই এইচডিএল (ভালো কোলেস্টেরল)। আমাদের প্রতিদিনের কোলেস্টেরল চাহিদা পূরণের জন্য এটি যথেষ্ট, তাই এক বা দুটি ডিম খাওয়া স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর নয়; বরং উপকারী।

ডিমের সাদা অংশে অ্যালবুমিন ও প্রয়োজনীয় অ্যামিনো অ্যাসিড থাকে, যা পেশি গঠনে এবং ওজন ও রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে। প্রতিদিনের প্রোটিনের চাহিদা পূরণে ডিম একটি সহজলভ্য ও সাশ্রয়ী উৎস।


কখন খাওয়া নিষেধ

যদিও ডিমের অনেক স্বাস্থ্য উপকারিতা রয়েছে, তবে কিছু সতর্কতা অবলম্বন করা উচিত। প্রাণিজ চর্বি (যেমন মাখন ও ঘি) যোগ করলে ডিমের ক্যালরি বেড়ে যায় এবং এটি স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকারক হতে পারে। সুতরাং, সেদ্ধ বা অলিভ অয়েল বা উদ্ভিজ্জ তেলে রান্না করা ডিম খাওয়াই ভালো।

কিডনি রোগীদের ক্ষেত্রে প্রোটিনের পরিমাণ নিয়ন্ত্রণ করা উচিত; তাই তাঁরা দিনে একটির বেশি ডিম খেতে পারেন না। এছাড়া যারা ডিমে অ্যালার্জিক, তাঁদের ক্ষেত্রে ডিম বর্জন করা প্রয়োজন।

সার্বিকভাবে, ডিমের উপকারিতা অনেক বেশি, তাই প্রতিদিন নাশতায় একটি ডিম রাখা উচিত।

One Reply to ““প্রতিদিন ডিম খাওয়া: ভালো না মন্দ?””

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।